spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
সোমবার, ২৯ মে ২০২৩
প্রচ্ছদবৃহত্তর চট্টগ্রামগরু পার করাতে গিয়ে বাঁকখালী নদীবে ডুবে নিহত ২

গরু পার করাতে গিয়ে বাঁকখালী নদীবে ডুবে নিহত ২

spot_img

কক্সবাজার প্রতিনিধি »

গরু নিয়ে সাতরিয়ে বাঁকখালী নদী পার হতে গিয়ে কক্সবাজারের ডুবে মারা গেছেন স্কুল শিক্ষার্থী ও প্রবাসীসহ দু’জন।

বুধবার ৯২৯মে) বেলা ১টার দিকে বাঁকখালী নদীর রামু উপজেলার মিঠাছড়িঘাট এলাকা দিয়ে খালের ওপারে খরুলিয়া বাজারে গরু আনতে গিয়ে এ মর্মান্তিক ঘটনায় পতিত হন তারা। জাল ফেলে বিকাল ৪টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী।

নদীতে ডুবে নিহতরা হলেন, রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়ার সোলতান আহমদের ছেলে শিক্ষার্থী মো. সাহেদ (১৫) ও একই এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে প্রবাসী আমির হোসাইন (২৫) । সাহেদ দক্ষিণ মিঠাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনূস ভূট্টো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রোববার খরুলিয়া বাজারের সপ্তাহিক হাটবার। সেখানে বিক্রয়ের জন্য গৃহপালিত গরু নিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন প্রবাস ফেরত আমির হোসাইন ও স্কুল শিক্ষার্থী সাহেদ। সড়ক পথে ৬ কিলোমিটার না হেটে খালের ওপারের বাজারে সহসা গরু নিয়ে পৌঁছাতে গরুসহ খালপার হচ্ছিল তারা। এসময় গরু সাথে সমানে সাঁতার কাটলেও মাঝখানে যাওয়া মাত্র তারা দু’জন তলিয়ে যায়। গরুগুলো ওপারে চলে গেলেও সাথে থাকা দুজন তলিয়ে যাওয়া দেখে স্থানীয়রা সবাইকে খবর দেয়।

চেয়ারম্যান আরো বলেন, খবর পেয়েই কক্সবাজার দমকল বাহিনীকে ডাকা হয়। ২টার পর দমকল বাহিনীর দু’সদস্য এলেও তারা খালে নামতে সাহস করেনি। পরে স্থানীয় শতাধিক লোক সনাতন পদ্ধতিতে জাল ফেলে তলিয়ে যাওয়াদের উদ্ধার করে কূলে তুলে আনে। চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ এলাকায় খাল পার হতে গিয়ে প্রতি বছরই দু’তিনজন এভাবে তলিয়ে গিয়ে মারা যান বলেও উল্লেখ করেন চেয়ারম্যান।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল মনসুর বলেন, খবর পেয়েছি গরু নিয়ে খাল পার হতে গিয়ে নদীর তিনভাগের দুই তৃতীয়াংশ পার হবার পর দু’জন ডুবে যায়। তলিয়ে যাবার সময় একে অপরকে ধরে রাখার চেষ্টা করেও বাঁচতে পারেনি। বেলা ৪টার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধারের পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

কক্সবাজার দমকল বাহিনীর কর্মকর্তা শাফায়েত হোসেন সাগর বলেন, কক্সবাজারের দমকল বাহিনীতে প্রশিক্ষিত কোন ডুবুরি নেই। এরপরও অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে নদীতে তলিয়ে যাওয়াদের উদ্ধারে নেমে পড়েন। অনেক ক্ষেত্রে এ ব্যত্যয়ও ঘটে।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ