spot_imgspot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদআবহাওয়ামোখা এগোচ্ছে—তাণ্ডব চালাতে পারে রোববার বিকেলে!

মোখা এগোচ্ছে—তাণ্ডব চালাতে পারে রোববার বিকেলে!

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

বাংলাধারা ডেস্ক : ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। যেটি হতে পারে সিডরের চেয়েও অধিক শক্তিশালী। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে দ্রুতগতিতে। এটি রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।

স্থলভাগে এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনটি আছড়ে পড়তে পারে প্রবল গতিবেগ নিয়ে। ঘূর্ণিঝড়টির ধ্বংসলীলা নিয়ে ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে নানা আশঙ্কা।

ঘন্টায় ১৫০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ধেয়ে আসা এ ঘূর্ণিঝড়টি ৪৫০ কিলোমিটারজুড়ে তাণ্ডব চালাতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়টি প্রথমে মায়ানমারে আঘাত হানলেও কক্সবাজার উপকূলেও বজায় থাকবে এর পূর্ণ প্রভাব। এ নিয়ে চলছে ব্যাপক সতর্কতামূলক প্রচারণা ও মাইকং।সর্বশেষ আবহাওয়ার পূর্বাভাসে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতে দেখাতে বলা হয়েছে। কিছু সময়ের জন্য পানির নিচে চলে যেতে পারে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। বড় জোয়ারের সঙ্গে ৬ থেকে ৯ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৮ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে দূর্যোগ মোকাবেলায় জোর প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। উপকূলবর্তী পতেঙ্গা, হালিশহর, কাট্টলী এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ জেলেপল্লীর জনগণকে সরাতে এসব এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। উপকূলবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ৪-৫ হাজার জেলে পরিবারকে নিরাপদে অপসারণের কার্যক্রম চলছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় ২৫টি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম সদর দপ্তরে ২৫ জনের একটি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখার মোকাবেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনও। সকাল থেকে ৭টি যানবাহনে করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ত্যাগ করে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেন মেয়র রেজাউল করিম খোকন নিজেই।

পর্যটকদের সৈকত থেকে উঠে আসতে ও নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করতে বিভিন্ন সতর্কতামূলক প্রচারণা চালায় ট্যুরিস্ট পুলিশ। এসময় ঘুর্ণিঝড় মোখার ভয়াবহতা ও সম্ভাব্য তাণ্ডব নিয়ে মাইকিং করতে দেখা যায় তাদের।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় রেড ক্রিসেন্টও নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সকাল থেকে মাইকিং, সাধারণ মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তরসহ নানা সতর্কতামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

এদিকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মুহাম্মদ মুসলিম। এসময় তিনি ঘূর্ণিঝড় মোখা ও এর তাণ্ডব সম্পর্কে পর্যটকদের সর্তক করার জন্য প্রচারণা চালান।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় আজ (১৩ মে) রাত থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা দিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ এখন ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার, যা দমকা হাওয়ার আকারে ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এজন্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছধরা নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ