কক্সবাজার প্রতিনিধি : মিয়ানমারে মানুষ বন্ধক রেখে ইয়াবা আমদানিকারী মাদকের গডফাদার হিসেবে পরিচিত জকির ও তার সহযোগী ইসমাইল নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫’র সদস্যরা। এসময় ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটও জব্দ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।
গ্রেফতাররা হলো— টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড হাজমপাড়ার মৃত সালেহ আহমদের ছেলে মো. জাকির আহমেদ প্রকাশ জকির (৩৯) ও একই এলাকার নুরুল বসরের ছেলে মো. ইসমাইল (৩৫)।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, গত ১৫ জানুয়ারি ফেইসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিক জসিম উদ্দিন নামে এক যুবককে মিয়ানমারে ইয়াবা ডিলার কর্তৃক নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়।
ভাইরাল ভিডিওতে কথিত জসিম নিজেই জানায় টেকনাফ সদর হাজম পাড়ার জকির নামক ইয়াবা ব্যবসায়ী তাকে মিয়ানমারের ইয়াবা ডিলারের নিকট বন্ধক রেখে ২৫ লাখ টাকার ইয়াবা নিয়ে আসে।
উক্ত ইয়াবার টাকা পরিশোধ না করায় মিয়ানমারের ইয়াবা ডিলারগণ কথিত জসিমকে শারীরিক নির্যাতন করে ভিডিও প্রকাশের পরেই সংশ্লিষ্ট মাদক ব্যবসায়ীরা আত্মগোপনে চলে যায়। বর্ণিত ঘটনা বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হলে বিষয়টি র্যাবের দৃষ্টিগোচরে আসে এবং কক্সবাজার র্যাব-১৫ সংশ্লিষ্ট ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ও প্রকাশিত ব্যক্তিদের চিহ্নিতসহ জড়িত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে টেকনাফ-উখিয়া ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি র্যাবের আভিযানিক দল অভিযান অব্যাহত রাখার পর গত মঙ্গলবার (১৬ মে) রাত ৮টার দিকে র্যাব-১৫, কক্সবাজারের সিপিএসসির একটি আভিযানিক দল ঈদগাঁও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আল মাছিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার মসজিদের সামনে থেকে জকিরসহ তার আরেক সহযোগী ইসমাইলকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের দেহ তল্লাশী করে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত জকির জানায় ফেইসবুক, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত আলোচিত ঘটনায় সে প্রত্যক্ষ্যভাবে জড়িত ছিল এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত জসিম তার পরিচিত লোককে মিয়ানমারে বন্ধক রেখে ২৫ লাখ টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে।অভিযানে উপরোল্লিখিত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দলের কাছে ধৃত হয়।
গ্রেফতার জকিরের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অপরাধে টেকনাফ থানায় ৫টির অধিক মামলা রয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় এজাহার দাখিল করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।