২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের বাজেটে পোষাক খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহয়তা জরুরী উল্লেখ করে বিজিএমইএর প্রথম সহ সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এ কথা আজ সর্বজন স্বীকৃত যে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন রপ্তানির উপর নির্ভরশীল। আর রপ্তানির প্রধানতম খাত হলো তৈরী পোশাক শিল্প। দেশের প্রায় ৮২ শতাংশ রপ্তানি আয় আসছে তৈরী পোশাক শিল্পের মাধ্যমে। দেশে তৈরী পোশাক শিল্পের উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে অর্থনীতিকে বেগবান করে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব।’
মঙ্গলবার (২৩ মে) আসন্ন বাজেটকে সামনে রেখে পোষাক শিল্পখাত বান্ধব বাজেট ও পোষাক খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জরুরী সহয়তার দাবি জানিয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানির টার্গেট সামনে রেখে পোষাক শিল্পে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে। কিন্তু কভিড-১৯ পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক অস্থিরতা, দেশে দেশে মুদ্রাস্ফীতির কারণে আর্ন্তজাতিক বাজারে পোশাকের দরপতন, অর্ডার স্বল্পতা, মূল্য কম, সমস্ত শিল্পেই পেমেন্ট ইনসিকিউরডসহ রপ্তানিকারকদের মধ্যে এক ধরণের আতঙ্ক বিরাজ করছে। অন্যদিকে সূতা ও ডাইস কেমিক্যালের দাম বৃদ্ধি, ডিজেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির ফলে পরিবহন ও উৎপাদন খরচ দ্বিগুনেরও বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিযোগি দেশ গুলো থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকার কারণে দেশের পোশাক শিল্প বর্তমানে কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখিন।
রপ্তানি বাণিজ্যকে টিকিয়ে রাখতে সরকার কর্তৃক নীতিগত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতসহ বেশকিছু সহয়তা প্রত্যাশা করেন বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি।
‘কস্ট অব ডুইং বিজনেস’ কমানোর লক্ষ্যে বাজেটে বিদ্যুৎ গ্যাসের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহসহ মূল্যহ্রাসের ব্যবস্থা, ভ্যাট ট্যাক্স কমানো, ব্যাংক ইন্টারেস্ট সিঙ্গেল ডিজিটের মধ্যে রাখা, রপ্তানি আয়ে ইনসেন্টিভ অব্যাহত রাখা, রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে পূর্বের ন্যায় ০.৫০ শতাংশ করা, তৈরী পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন সহয়তার দাবি করা হয় এসময়।