বাংলাধারা ডেস্ক »
ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়ার পর শুরু হয়েছে বিচারপ্রক্রিয়া।
বৃহস্পতিবার (৩০মে) মামলার হাজিরা দিতে পুলিশি হেফাজতে আসামিদের আদালতে তোলা হয়।
এসময় আদালত চত্বরেই মামলার বাদী নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ও পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন তারা। পুলিশের সামনেই আইনজীবী ও স্থানীয় পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের ওপর চড়াও হতে দেখা গেছে তাদের।
বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে মামলার শুনানির আগ মুহূর্তে তারা অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামকে দেখে তার ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় নুসরাত হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত ১৬ আাসামিসহ গ্রেপ্তার হওয়া ২১ জনই মামলাটিকে ‘মিথ্যা’ দাবি করে ষড়যন্ত্রকারী আখ্যায়িত করে অ্যাডভোকেট খোকনকে গালিগালাজ করেন।
আসামিরা আদালতকক্ষে প্রবেশের সময় প্রথমে আওয়ামী লীগ নেতা খোকনকে দেখে ‘দালাল, দালাল’ বলে চিৎকার করতে শুরু করে। আদালতকক্ষে প্রবেশের পর আরেক দফা আসামিরা ‘ধর ধর’ বলে খোকনের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি বেসামাল হতে শুরু করলে আদালতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে কক্ষ থেকে বহিরাগতদের বের করে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর বিচারকাজ শুরু হয়।
এসময় নুসরাত হত্যা মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য নারী শিশু ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন।
নিহত নুসরাতের বড় ভাই ও মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমান গণমাধ্যমকে বলেন, মামলার আসামি ও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা আদালতে প্রশাসনের সামনে আমাকে, আমার পরিবার ও আমার আইনজীবীকে নানা হুমকি দেয় এবং গালিগালাজ করে।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ও সোনাগাজী পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন গণমাধ্যমকে বলেন, নুসরাতের হত্যাকারীদের হুমকিতে শংকিত নই। প্রয়োজনে মরতে রাজি আছি, তবু হত্যাকারীদের সঙ্গে আপোষ করবো না।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর