ক্রীড়া ডেস্ক : লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি ঘরে তোলে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপ শেষে প্রীতি ম্যাচেও আলো ছড়ানো দেশটি, ব্রাজিলকে হটিয়ে শীর্ষ স্থানে উঠে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আরেকটি উৎসবে লাতিন দেশটি। কেননা তাদের মাটিতে বসেছে অনূর্ধ্ব–২০ ফুটবল বিশ্বকাপের আসর। আর এ টুর্নামেন্টে বেশ শক্ত অবস্থানে আছে মেসি-ডি মারিয়াদের উত্তরসূরিরা। এই আসরে সপ্তম বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে লড়ছে আলবেলিস্তেদের যুবরা। ইতিমধ্যে গ্রুপ পর্বে টানা দুই জয়ে পরের রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে গেছে আর্জেন্টিনার। শুক্রবার রাতে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ড নিশ্চিতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় তারা।
এস্তাদিও সান জুয়ান দেল বিসেন্টেনারিও স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড ও এই আসরের সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ী আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় শুরু হয় ম্যাচটি। আর কিউইদের বিপক্ষে এ ম্যাচে আর্জেন্টিনার পারফরম্যান্স এক কথায় অসাধারণ। আগ্রাসী খেলায় প্রতিপক্ষের রক্ষণকে বারবার আক্রমণ করেছে আলবিসেলেস্তেরা। নিউজিল্যান্ড কিছুক্ষণের জন্য বলের নিয়ন্ত্রণ নিলেও বাজপাখির ক্ষিপ্রতায় তা পুনরায় আয়ত্তে নিয়ে এসেছে আর্জেন্টাইন যুবারা, প্রতিপক্ষকে ভাসিয়েছে গোল বন্যায়।
ফেদেরিকো রেদোন্দো, লুকা রোমেরোদের অসাধারণ নৈপূণ্যে সহজেই গোলের গোলে দেখা পায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ১৪ মিনিটে ইগনাসিও মায়েস্ত্রোর গোলে প্রথম গোলের দেখা পাওয়া আর্জেন্টিনা এরপর প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে আরও ৪ গোল। উইঙ্গার ব্রায়ান আগুইরের দ্রুত ড্রিবলিং এবং রক্ষণ ভেদ করে দ্রুত ঢুকে যাবার ক্ষমতায় নাকানি চুবানি খেতে হয়েছে কিউই ফুটবলারদের। ফলে বিরতির আগে ৩ গোলের দেখা পেয়ে যায় তারা। আর লুকা রমেরোর করা তৃতীয় গোলটি ছিল এক কথায় চোখ ধাঁধানো।
বিরতির পর নিজেদের ডি বক্সে কিউই ফুটবলারের হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পায় আর্জেন্তিনা। আর স্পট কিকে গোল করার সুযোগও হাত ছাড়া করেননি ব্রায়ান আগুইরে। ম্যাচের শেষদিকে আলেহ ভেলিজ আর্জেন্টাইন যুবাদের হয়ে করেন আরও এক গোল। শেষ পর্যন্ত ৫-০ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। পুর খেলায় ৭৬ শতাংশ সময় বলের নিয়ন্ত্রন রাখা আর্জেন্টিনা শট নিয়েছে মোট ৩০ টি যার ৯ তিই ছিল লক্ষে। অপরদিকে নিউজিল্যান্ড কোনো শতই নিতে পারেনি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচও জিতে যাওয়ায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ড নিশ্চিত করলো মেসি-ডি মারিয়াদের উত্তরসূরিরা।