মধু মাস জৈষ্ঠের শুরুতে নানা রকম বাহারী ফল-ফলাদির পাশাপাশি মিরসরাইয়ে বিভিন্ন বাজারে ইতোমধ্যে জমে উঠেছে তালের শাঁস বিক্রি। প্রচন্ড গরমে ক্রেতারা ঝুঁকছে তালের শাঁস ক্রয়ের জন্য।
উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর তালের ফলন অনেক বেশি হয়েছে। একটি পূর্ণ তালের মূল্য ১০ থেকে ২০ টাকা। বড়তাকিয়া, জোরারগঞ্জ, করেরহাট, মঘাদিয়াসহ ছোট বড় প্রায় সব বাজারের রাস্তার পাশে তালের শাঁস বিক্রি হচ্ছে। ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের পছন্দের খাবার হিসেবে সমাদৃত তালের শাঁস। মানুষের চাহিদা থাকায় বিক্রিও হচ্ছে দেদারসে।
মিরসরাই পৌর বাজারে দাঁড়িয়ে পরিবারের সবার জন্য তালের শাঁস কিনেছিলেন মো:সেলিম। তিনি বলেন, ‘বাজারে ফরমালিন বা কেমিক্যাল ছাড়া কোন ফল পাওয়া মুশকিল। সেখানে তালের শাঁস সর্বোৎকৃষ্ট। কোন ধরনের ভেজাল নেই। এটা কেবল বাজারে বা গ্রামের অলিগলিতে পাওয়া যায়। ছোট শাঁস অনুযায়ী দাম কিছুটা বেশি হলেও এ নিয়ে কিছু বলার নেই। বিক্রেতারা কষ্ট করে কেটে দেয়। লাভ না হলে তারা চলবে কীভাবে।’
আরেক ক্রেতা প্রাইমারি স্কুলের সহকারী শিক্ষক সুব্রত বড়ুয়া বলেন, ‘গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পেরেছি তালের শাঁস অনেক উপকারী। এটা ডায়েটের জন্য বেশ কার্যকর। এছাড়া শুষ্ক ত্বক ও চুল পড়া বন্ধ করে। লিভার, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তশূন্যতা এগুলোর জন্যেও উপকারী। এটা খেতেও সুস্বাদু। এজন্য নিজে খেলাম পরিবারের সদস্যদের জন্যেও নিলাম।’
তালের শাঁসের খুচরা বিক্রেতা রিপন জানান, গত কয়েকবছর ধরে গরম এলেই তিনি তালের শাঁস বিক্রি করেন। আগে এলাকায় বিক্রি করতেন, এখন পৌর বাজার এলাকায় বিক্রি করেন। বেচাকেনাও ভালো। পরিবহন ও ঘাটের খরচসহ সব খরচ বাদ দিয়ে দৈনিক সাত-আটশ’ টাকা লাভ থাকে। গরম যতো বাড়ে তালের শাঁসের চাহিদাও বাড়ে।