কক্সবাজারের টেকনাফে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে জাহাঙ্গীর আলম (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের হাতের কব্জি কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাস্তার পাশে ফেলে গেছে দুবৃত্তরা।
শনিবার (৩ জুন) রাত ৯টার দিকে টেকনাফ আলীখালী ডি-২০ ব্লক পাহাড় সংলগ্ন এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন কব্জিসহ আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় রোহিঙ্গারা। একই সময়ে অপহৃত অপর ৪ জনের এখনো মিলেনি কোন সন্ধান।
হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া জাহাঙ্গীর আলম টেকনাফ আলীখালী ২৫ নম্বর ক্যাম্প ব্লকঃ ডি/২১ এর সামসু আলমের ছেলে।
টেকনাফ শরনার্থী আলীখালী ক্যাম্প মাঝি নুরুল আমিন ভিকটিমের পরিবারের বরাতে জানান, শুক্রবার রাতে ২৫ নম্বর ক্যাম্প থেকে ১২-১৫ জনের অস্ত্রধারী একটি সন্ত্রাসীদল ৫ রোহিঙ্গা যুবককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিল। পরে শনিবার রাত ৯ টার দিকে তার পরিবার জানতে পারে আলীখালী ক্যাম্পে ডি/২১ ব্লক পাহাড়ি সংলগ্ন এলাকায় অপহৃতদের একজন জাহাঙ্গীরকে বাম হাতের কব্জি কর্তন করে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ক্যাম্প সংলগ্ন (আইআরসি) হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেন।
তিনি আরো জানান, ৫ জন রোহিঙ্গা যুবক অপহরণ হওয়ার পর অপহরণকারী সন্ত্রাসীরা তাদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছিল। অপহৃত বাকি ৪ জনের এখনো কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল হালিম বলেন, পাহাড় সন্নিবেশিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশ এলাকা থেকে বার বার অপহরণের ঘটনা ঘটছে। আমরা অনেকজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু এ পাঁচজন অপহরণের বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। কব্জি কাটা অবস্থায় এক রোহিঙ্গা যুবক উদ্ধারের বিষয়েও কেউ জানায়নি। বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।