বাংলাধারা ডেস্ক »
বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। তবে এর আগে ৩০ মে থেকে নাড়ির টানে মানুষ বাড়ির পানে ছুটে। আবার ঈদ পরবর্তী সময়ে সকলে কর্মস্থলে ফিরে। এ ঈদযাত্রায় ৩০ মে বৃহস্পতিবার থেকে ৯ জুন রবিবার পর্যন্ত মোট ১১ দিনে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ১৪২ জন নিহত ও ৩২৪ জন আহত হয়েছেন। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কে সংঘটিত ৯৫টি দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির ঈদ-যাতায়াত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সোমবার (১০ জুন ) ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ, অনলাইন নিউজপোর্টাল, সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশন চ্যানেলের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনা ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোর তুলনায় এবার সড়ক ও নৌপথে ঈদ-যাতায়াত স্বস্তিদায়ক ছিল। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জনগণ প্রত্যাশিত সেবা পায়নি।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যত ঈদযাত্রা শুরু হয়। ওইদিন সাতটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত হয় ও আটজন আহত হয়। পরদিন ৩১ মে ৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত হন যথাক্রমে ছয়জন ও সাতজন।
পহেলা জুন ১১টি দুর্ঘটনায় ১০ নিহত ও ৩১ জন আহত হয়। ২ জুন ১৫টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত ও ৩৮ জন আহত হন। ৩ জুন সাতটি দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ১৪ জন আহত হয়েছেন। ৪ জুন দুর্ঘটনা ঘটেছে ছয়টি। এতে নিহত ও আহত হয়েছেন যথাক্রমে ১৬ জন ও ৬২ জন। ৫ জুন ঈদুল ফিতরের দিন ১৬টি দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৭৮ জন আহত হয়েছেন।
৬ জুন নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ১১ ও ৩৩। ওইদিন দুর্ঘটনা ঘটেছে আটটি। ৭ জুন ছয়টি দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে ১১ জনের, আহত হয়েছেন ১৮ জন। ৮ জুন সাতটি দুর্ঘটনায় আটজন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন। ৯ জুন ৬টি দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে পাঁচ জন ও ২৪ জন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে প্রযুক্তিগত সমস্যা ও ঈদ-যাত্রার প্রথম দিন থেকে দূরপাল্লার অনেক ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যয়ের কারণে অগণিত যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছে।
ঈদের আগে ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-পাটুরিয়া ও ঢাকা-ময়মনসিংহসহ দূরপাল্লার বিভিন্ন সড়কে মাত্রাতিরিক্ত বাসভাড়া আদায় বন্ধ করা যায়নি। ঈদ-ফেরত যাত্রীদের কাছ থেকেও একইভাবে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হলেও তা বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন। এমনকি লঞ্চ ও ট্রেনের ছাদে যাত্রী পরিবহনও বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।
এ ছাড়া ঈদের ছুটিতে রাজধানীর মধ্যে চলাচলরত বাস ও অটোরিকশাগুলো যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ-তিনগুণ ভাড়া আদায় করেছে। উবার ও পাঠাও’র মতো ইন্টারনেটভিত্তিক রাইড শেয়ারিং অ্যাপ্সের মাধ্যমে যাত্রী বহনকারী কোম্পানিগুলোও ঈদ-ছুটিতে তাদের ইচ্ছেমতো ভাড়া বাড়িয়েছিল।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিআর/বি