spot_imgspot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
শনিবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদচট্টগ্রামসরকারি জায়গা দখল করে শ্রমিক লীগ নেতার অবৈধ স্থাপনা

সরকারি জায়গা দখল করে শ্রমিক লীগ নেতার অবৈধ স্থাপনা

বান্দরবান প্রতিনিধি
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জেলা শহর বান্দরবানের সওজের জায়গায় একের পর এক দখল করে চলছে অবৈধ ঘর কিংবা দোকানপাট স্থাপন। কেউ রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে আবার কেউ সাংবাদিকতার দোহাইয়ে। এমন একটি সিন্ডিকেট চক্র গড়ে উঠেছে জেলা শহরে। বান্দরবানের সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা, সড়কের জায়গা দখল করে দোকান স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে ৮নং ওয়ার্ডের শ্রমিক লীগের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। কোন আইনের তোয়াক্কা না করেই সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে একের পর এক গড়ে তুলছেন অবৈধ দোকানপাট। এর আগেও তিনি একই স্থানে গড়ে তুলেছেন ৩টি অবৈধ স্থাপনা। এই ৪টি দোকানই কামাল হোসেন নামের একই ব্যক্তির।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বান্দরবান পৌর এলাকার রুমা বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন চিম্বুক সড়ক ঘেঁষে অবৈধভাবে গড়ে তুলছেন দোকানপাট। সে দোকানের কাজে নিয়োজিত রয়েছেন একজন শ্রমিক। বর্তমানে সেই দোকান কাজ শেষ পর্যায়ের। শুধু সেটি নয় একই সড়কের ধারে সরকারি জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন আরো ৩টি দোকান। সব মিলে এই চারটি দোকান ক্ষমতার দাপট খাটিয়ে দখল করে করেছেন তিনি। এরই মধ্যে ওএমএস চাউলের ডিলার, সেলুন, ও অপর একটি দোকান চলমান। তবে তার এই দখল নিয়ে স্থানীয়দের অভিযোগের যেন শেষ নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দখলদার কামাল হোসেন বর্তমানে ৮নং ওয়ার্ডের শ্রমিক লীগের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়কের জায়গায় দখল করে একে একে মোট ৪টি দোকানপাট গড়ে তোলা হয়েছে। কাগজ পত্র ছাড়া কিভাবে গড়ে তুললেন সেটি তাদের জানা নাই। এই ৪টি দোকান স্থাপনের পর মালিক হিসেবে পরিচয় দেন কামাল হোসেন নামের ওই ব্যক্তি। তিনি অবৈধভাবে দোকান তোলার পর সেসব দোকান ভাড়াও দিয়েছেন।

পাশ্ববর্তী দোকানদার সিকান্দার মুন্সি বলেন, সড়কের পাশ ঘেঁসে সরকারী জায়গায় দখল করে দোকান স্থাপনা করছে। এর আগের আরো তিনটি দোকান গড়ে তোলা শেষ। এসব জায়গায় তার কোন কাজগজ পত্র নাই।

এব্যপারে দখলদার কামাল হোসেন সাথে মুঠোফোন কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ার কারণের দোকান তুলেছেন। তাছাড়া তার দোকান স্থাপনের জায়গার কাগজপত্র নাই বলে স্বীকার করেন। কেন নাই প্রশ্ন করলে বিকালে দেখা করব বলে ফোনটি কেটে দেন।

বান্দরবান সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন জানান, সরকারি জায়গা দখল করে ঘর তোলার কোন এখতিয়ার নাই। ঘটনাস্থলে আমাদের টিম পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ