বাংলাধারা ডেস্ক »
আফ্রিকার দেশ সেন্ট্রাল মালির মোবতি এলাকায় সানগা শহরের কাছে সোবামে দা গ্রামে ডোগন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর উপর সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় একশ জন নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এখনো নিখোঁজ রয়েছে ১৯ জন। খবর – বিবিসি বাংলা
কোন গ্রুপ এখনো পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
মালির সরকার বলছে ‘সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীরা’ এই হামলা চালিয়েছে এবং এখনো ১৯ জন নিখোঁজ আছে। হামলার পর মাত্র ৫০ জন মানুষ রক্ষা পেয়েছেন বলে খবরে প্রকাশিত হয়েছে।
সহিংসতা ঠেকাতে ঐ অঞ্চলে বিমান সহায়তা পাঠিয়েছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী। কর্তৃপক্ষ বলছে মোবতি এলাকায় সানগা শহরের কাছে সোবামে দা গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৯৫ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। যাদের অনেক শরীর পোড়া ছিল। এখনো মৃতদের খোঁজে কাজ চলছে।
গ্রামটিতে মাত্র ৩০০ জনের মত বাসিন্দা ছিল।
মালিতে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এর কিছু হয়েছে গোষ্ঠীগত বিরোধের কারণে, কিছু ছিল জিহাদি গ্রুপের হামলা। ডোগন শিকারি এবং সেমি নোমাডিক ফুলানি হার্ডার মধ্যে সংঘর্ষ সেখানে নৈমিত্তিক ঘটনা।
আমাদো টোগো নামের এক ব্যক্তি যিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন “৫০ জনের মত ভারী অস্ত্রসজ্জিত ব্যক্তি মোটরবাইক এবং পিকআপে করে আসে। তারা প্রথমে পুরো গ্রামটি ঘিরে ফেলে পরে হামলা করে। এবং যে পালানোর চেষ্টা করে তাকেই তারা হত্যা করে”।
গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণ কী?
ঐ অঞ্চলে ডোগন এবং ফুলানি বাসিন্দাদের মধ্যে বহুদিনের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এর মূল কারণ ডোগনরা প্রথাগত পদ্ধতিতে চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করে।
অন্যদিকে, পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আসা ফুলানি গোত্রের লোকেরা কিছুটা যাযাবর জীবনযাপন করে। এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ অনেক পুরনো।
তবে বিবিসি সংবাদদাতারা বলছেন ২০১২ সালে ঐ অঞ্চলে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থানের পর থেকে সংঘাত ও হামলার ঘটনা বেড়ে চলেছে। ফুলানিরা ঐ অঞ্চলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী, যে কারণে তাদের সঙ্গে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এমন অভিযোগ করা হয়।