উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে শেষ হলো চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এখন চলছে গণনা।
রোববার (৩০ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চট্টগ্রাম-১০ আসনের এ নির্বাচনে ভোট হয় ইভিএম পদ্ধতিতে। নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ছাড়াও আরও ৫ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নির্বাচনের মাঠে ছিলোনা তাদের প্রার্থীসহ কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি। নির্বাচনে পাওয়া যায়নি কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবরও।
নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে আগে থেকেই সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আসনটিতে ১৫৬টি কেন্দ্রে কেন্দ্রে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের কন্ট্রোল রুম থেকে সরাসরি ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেছেন নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা।
এদিকে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ১৬-১৭ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ১৭-১৮ জন পুলিশ ও আনসার দায়িত্ব পালন করেন। পুলিশ এবং এপিবিএনের সমন্বয়ে আট ওয়ার্ডে আটটি মোবাইল ফোর্স ছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স ছিলো চারটি, র্যাবের চারটি টিম (প্রতি দুই ওয়ার্ডে একটি করে) ও বিজিবির চার প্লাটুন (প্রতি দুই ওয়ার্ডে একটি করে) নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করে।
উপনির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা হলেন—আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা প্রতীক), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম (লাঙ্গল প্রতীক), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী রশীদ মিয়া (ছড়ি প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন প্রতীক) ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট প্রতীক)।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শূন্য এ আসনটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী আজ ৩০ জুলাই চট্টগ্রাম-১০ আসনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।