উদ্বোধনের দুইবছর পর আগামী ৮ আগস্ট বঙ্গমাতার জন্মদিনে ছাত্রীদের জন্য নির্মিত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল খুলে দেওয়া হবে বলে কঠোরভাবে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.শিরীণ আখতার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ তম বার্ষিক সিনেট সভায় এ কথা জানান তিনি। তবে ছাত্রদের জন্য বরাদ্দকৃত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল কবে খুলবে সে ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি এ সভায়।
রবিবার (৩০ জুলাই) উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৩৫তম বার্ষিক সিনেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সিনেট সদস্য ড.মোহাম্মদ ওমর ফারুকের উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, ‘আগামী ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা হল খুলে দেওয়া হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার আরো বলেন, যেভাবে পারি, যেখান থেকে পারি লোকবল নিয়োগ দিয়ে আমরা বঙ্গমাতা হল খুলে দেবো। আমি ডিন মহোদয় ও প্রভোস্ট মহোদয়কে বলবো, যে নীতিমালা অনুযায়ী বঙ্গমাতা হল করা, সে অনুসারে যাতে সবকিছু স্থানান্তর করা হয়।
তবে ৩৫ তম বার্ষিক সিনেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল কবে খুলবে সে বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। শিক্ষার্থীদের আবাসিক সংকট নিরসনে ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমে ১৮৬ আসনের দোতলা হল উদ্বোধন করা হয় পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ২০ জুলাই থেকে হলটির উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দোতলা হল রুপান্তরিত হয় ৭৩৮ আসন বিশিষ্ট ছয় তলা হলে।
দ্রুত ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করে ২০১৯ সালের শেষের দিকে হলটি খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদের আসন বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
তবে কোনো ক্রমেই নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে না বঙ্গবন্ধু হলের। নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‘ঢালি কনস্ট্রাকশন’ হলটির কাজ পুরোপুরি শেষ করতে পারেনি প্রথম ধাপে নির্ধারণ করা সময়ে। ফলে ২০১৯ সালে শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এরপর বাকি কাজটুকু সম্পন্ন করতে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ধাপে ধাপে আরও ছয়বার কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু এরপরও এখনো হলটির সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে পারেনি ওই নির্মাণ প্রতিষ্ঠান।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, ‘ঢালি কনস্ট্রাকশন’ দ্বিতীয় দপায় বঙ্গবন্ধু হলের কাজের বরাদ্দ নিলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারে না। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল থেকে নতুন করে হলের নির্মাণ কাজের বরাদ্দ দেওয়া হয়। তবে এখনো ২০% শতাংশ নির্মাণ কাজ বাকি আছে। যা শেষ হতে আরো তিনমাস সময় লাগতে পারে।