সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গৃহবন্দি থাকা মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির ৫টি অপরাধ ক্ষমা করার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। গৃহবন্দি এই নেত্রীর বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এবং এর মধ্যে মাত্র পাঁচটি অভিযোগ ক্ষমা করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষমায় মূলত ৬ বছর সাজা কমলো অং সাং সুচির।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সাবেক নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে অসংখ্য অপরাধ রয়েছে এবং এর মধ্যে পাঁচটি অপরাধের জন্য তাকে ক্ষমা করা হবে বলে মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। এই পাঁচ অপরাধের জন্য সু চিকে মোট ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তার সাজা ৬ বছর কমানো হয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলে নেওয়ার পর থেকে বন্দি রয়েছেন সু চি। তবে নোবেল বিজয়ী এই নেত্রীকে গত সপ্তাহে রাজধানী নেইপিদোর কারাগার থেকে মুক্ত করে তার বাড়িতে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। ক্ষমা ঘোষণা করা হলেও সু চিকে আটকে রাখা হবে।
মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়কের কন্যা ৭৮ বছর বয়সী সু চি কয়েক দশকের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভের পর ১৯৮৯ সালে প্রথম গৃহবন্দি হন। ১৯৯১ সালে তিনি গণতন্ত্রের জন্য ভূমিকা রাখায় নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।
২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেন তিনি। আর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন সু চি।