spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদআন্তর্জাতিকওমানে এমপি সনি মুক্ত হন দূতাবাসের হস্তক্ষেপে— স্বীকার মন্ত্রণালয়ের

ওমানে এমপি সনি মুক্ত হন দূতাবাসের হস্তক্ষেপে— স্বীকার মন্ত্রণালয়ের

বাংলাধারা ডেস্ক
spot_img

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরীন বলেছেন, ওমানে সংরক্ষিত আসনের (চট্টগ্রাম) সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার ঘটনা প্রবাসী ও বাংলাদেশ সরকারের জন্য বিব্রতকর। ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের হস্তক্ষেপে তাকে মুক্ত করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরীন এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগ পর্যন্ত সাংসদ এদিকে ‘আটকের বিষয়টি সত্য নয়’ দাবি করে বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের কাছে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি দাবি করে আসছিলেন, তিনি গ্রেপ্তার হননি। এতে গ্রেপ্তারের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

খাদিজাতুল আনোয়ার সনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের কন্যা এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

খাদিজাতুল আনোয়ারের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সেহেলি সাবরীন বলেন, ঘটনাটা জানার পর ওমানে বাংলাদেশ দূতাবাস কার্যক্রম চালিয়ে সংসদ সদস্যকে মুক্ত করে। তিনি জানান, দূতাবাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁদের সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্থানীয় আইনকানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার এবং মেনে চলার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি প্রত্যাশা থাকবে যে বাংলাদেশি নেতৃবৃন্দ ও উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা যখন বিদেশ সফর করেন, তখন তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও তাঁদের সভা করার ক্ষেত্রে প্রবাসীরা স্থানীয় আইন যথাযথভাবে মেনে চলবেন। যাতে এ ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে না হয়।

সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ওমানের রাজধানী মাসকাটের হাফফা হাউস হোটেলে সেখানকার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সদস্যদের সঙ্গে একটি সভায় যোগ দেন। পুলিশি বাধার কারণে ওই সভা শেষ হয়নি। সেখান থেকে খাদিজাতুল আনোয়ারসহ অন্যদের রয়েল ওমান পুলিশ আটক করে বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

এ ধরনের পরিস্থিতি প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য যেমন বিব্রতকর, তেমনি বাংলাদেশ সরকারের জন্যও বিব্রতকর বলে উল্লেখ করেন সেহেলি সাবরীন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই সভায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের যে কয়জন ছিলেন, তাঁদের সবাইকে ছেড়ে দেওযা হয়েছে।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ওমানে কোনো ধরনের সভা করার ক্ষেত্রে নিষেধ আছে এবং যাঁরা ওখানে সভা করেছিলেন, তাঁরা ওমান সরকারের অনুমতি নেননি। এ ছাড়া সংখ্যায়ও অনেক বেশি ছিলেন। এটি হোটেলে করা হয়েছিল। এ জন্য পুলিশ তৎপরতা চালায়।

সংসদ সদস্যকে মুচলেকা দিয়ে ছাড়ানো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি দূতাবাস থেকে যত দূর জানতে পেরেছি যে সংসদ সদস্যকে পুলিশ কাস্টডি থেকে আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তারা গিয়ে পুলিশকে বুঝিয়ে তাঁকে মুক্ত করে। দূতাবাসের ক্ষেত্রে যেটা হয় যে সবকিছুর একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া আছে। দূতাবাস যখন হস্তক্ষেপ করেছে, তখন দূতাবাসের একটি মুচলেকা…হস্তক্ষেপের মাধ্যমেই তো পুলিশ কাস্টডি থেকে মুক্ত করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ