spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
শনিবার, ৩ জুন ২০২৩
প্রচ্ছদজাতীয়বাজেটে কমছে যেসব পণ্যের দাম

বাজেটে কমছে যেসব পণ্যের দাম

spot_img

বাংলাধারা ডেস্ক »

অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবারের মতো আ হ ম মুস্তফা কামালের দেয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাটের পরিধি যেমন ব্যাপক হারে বিস্তৃত করা হয়েছে, তেমনি নিত্য ব্যবহার্য কিছু পণ্যের ভ্যাট হার কমানো ও কিছুক্ষেত্রে বিভিন্ন শুল্ক ছাড় দেয়া হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে চলতি অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক এ বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। এটি ক্ষমতাসীন সরকারের চলতি মেয়াদের প্রথম এবং দেশের ৪৮তম বাজেট।

প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে তা হলো- দেশে তৈরি ফ্রিজ, ক্যান্সারের ওষুধ, দেশে তৈরি লিফট, রফতানিমুখী পোশাক, চামড়াজাত জুতা, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা, স্বর্ণ, রড, ইলেকট্রিক মোটর, বিস্কুট ও বেকারি পণ্য, অগ্নিনির্বাপক পণ্য।

কৃষিখাতে প্রণোদনার জন্য কৃষি যন্ত্রপাতি যেমন- পাওয়ার রিপার, পাওয়ার টিলার অপারেটেড সিডার, কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার, লোলিস্ট পাম্প, রোটারি টিলারের ওপর স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়।

দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করে পাউরুটি ও বনরুটি, হাতে তৈরি তৈরি বিস্কুট ও কেক প্রতি কেজি ১৫০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত মূসক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। নারী উদ্যোক্তা পরিচালিত ব্যবসায় শো-রুমের উপর মূসক অব্যাহতি।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (বেজা) বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক গ্যাস, যোগানদার ও বিদ্যুৎ বিতরণকারী সেবার উপর মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব করা হয়েছে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যোগানদার ও বিদ্যুৎ বিতরণকারী সেবার উপর মূসক অব্যাহতি। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রকল্পে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নির্মাণ সংস্থা, কনসালটেন্সি ও সুপারভাইজরি ফার্ম, যোগানদার ও আইন পরামর্শক সেবার উপর মূসক অব্যাহতির প্রস্তাব।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ক্ষেত্রে ফরোয়ার্ডার্স, ক্লিয়ারিং ও ফরোয়ার্ডিং সংস্থা, বিমা কোম্পানি, যোগানদার ও ব্যাংকিং সেবার উপর মূসক অব্যাহতি। স্বর্ণ চোরাচালারন রোধে বাণিজ্যিকভাবে স্বর্ণবার আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামের বিদ্যমান শুল্ককর ৩ হাজার টাকা থেকে হ্রাস কমিয়ে ২ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।

দেশীয় তৈরি লিফট, রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসার, এয়ার কন্ডিশনার, মোটর, মোল্ড ও পাদুকা শিল্পকে সুরক্ষার জন্য এ খাতে উপকরণ আমদানিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। ক্যানসারের ওষুধের উপর রেয়াদি সুবিধা ছাড়াও স্বল্পমূল্যে অসুস্থ গরিব রোগীদের কাছে মেডিক্যাল গ্যাস সহজলভ্য করতে এসব পণ্যে আরোপিত রেগুলেটরি ডিউটি ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/এসবি

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ