spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদপার্বত্য অঞ্চলটানাবর্ষণে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা : প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতা

টানাবর্ষণে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা : প্রশাসনের ব্যাপক তৎপরতা

রাঙামাটি প্রতিনিধি
spot_img

দুদিনের টানা বর্ষণে পার্বত্য রাঙামাটি শহরে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে বসবাসরত নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে নানামুখী তৎপরতা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো।

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারী লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যেতে এবং বসবাসকারীদের সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশ জারি করেছে রাঙামাটির জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (৪ আগস্ট) দিনব্যাপী রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন স্থানে সচেতনতামূলক মাইকিংসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোশাররফ হোসেন খান।

এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম ফেরদৌস ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহাম্মেদ, কোতয়ালী থানার অফিসার আরিফুল আমিনসহ প্রশাসনের লোকজন ও স্বেচ্ছাসেবী টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সকাল থেকে শহরের শিমুলতলী, রূপনগর, লোকনাথ মন্দির, ভেদভেদি মুসলিম পাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত লোকজনদের মাইকিং করে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

এদিকে টানা বর্ষণের কারণে পাহাড়ধসের ঝুঁকি রয়েছে। তাই পাহড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের ৯ ওয়ার্ডে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোশাররফ হোসেন খান।

তিনি জানান, পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে দু’দিন ধরেই ভারী বর্ষণে ফলে পাহাড় ধসের সম্ভাবনায় আতঙ্কগ্রস্থ করে তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। দিনব্যাপী অব্যাহত বর্ষণের ফলে পাহাড়ের ধসের মতো দূর্ঘটনা থেকে নাগরিকদের রক্ষায় রাঙামাটি শহরের পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। অত্রাঞ্চলে পাহাড় ধসের সমূহ সম্ভাবনা থাকার কারনে স্থানীয়ভাবে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত বাসিন্দাদের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষায় সতর্ক করার পাশাপাশি তাদের জীবন রক্ষায় শহরের অভ্যন্তরেই আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। ভারী বর্ষণের সময় উক্ত আশ্রয় কেন্দ্রে যাতে করে মানুষজন সেখানে চলে যায় সেলক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক সচেতনামূলক প্রচারনা চালানো হচ্ছে। যাতে করে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে নাগরিকদের কিছুটা হলেও রক্ষা করা যায়।

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ