চট্টগ্রামে মাইলেজ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) বিকাল ৪টায় আবারও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি। মাইলেজ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন না হলে কর্মবিরতির ঘোষণাও দিয়েছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
১ আগস্ট বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারি সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের জরুরি সভায় এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারি সমিতি।
আগামী ২৭ আগস্টের মধ্যে রেলওয়ের কোড ও বিধি-বিধানের আলোকে রানিং স্টাফদের ১৬০ বছর যাবত বহাল পার্ট অব পে ৭৫% মাইলেজ (বেতন) যোগে পেনশন ও আনুতোষিক নির্ধারণে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সকল অসম্মতি প্রত্যাহার করে সুস্পষ্ট আদেশ জারির দাবিতে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ (লোকোমাস্টার ট্রেন চালক, গার্ড, টিটিই) ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
এতে নেতৃত্বে ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমানের। তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন কোন দাবি নিয়ে আসি নয়, রানিং কর্মচারিদের অবসরোত্তর ৭৫% মাইলেজ যা মূল বেতনের অংশ যোগ করে পেনশন নির্ধারণের বিধান প্রায় ১৬০ বছর যাবত চলমান। মীমাংসিত একটি বিষয়কে নিয়ে বারবার জটিলতা সৃষ্টি করা সরকারের ভিতর লুকিয়ে থাকা একটি সরকার বিরোধী চক্রের গভীর ষড়যন্ত্র।’ তিনি এ ব্যাপারে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রাম বিভাগীয় আহবায়ক মো. মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারি সমিতির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা শাহেদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম, রেল শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, নজরুল ইসলাম, গার্ড কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সভাপতি নুরুল আমিন লিটন সহ রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ ভুক্ত বিভিন্ন রেলওয়ে ট্রেড ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ও শাখা নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আগামী ২৭ আগস্টের মধ্যে রেলওয়ে কোড ও বিধি-বিধানের আলোকে ১৬০ বছর যাবত বহাল পার্ট অব পে ৭৫% মাইলেজ যোগে পেনশন ও আনুতোষিক নির্ধারণে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সকল অসম্মতি প্রত্যাহার করে সুস্পষ্ট আদেশ জারি করা না হলে আগামী ২৮ আগস্ট থেকে সর্বস্তরের রানিং স্টাফরা কর্মবিরতি পালন করবেন।