টানা বর্ষণে সাতকানিয়ায় পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত লাখো মানুষ। অনাহারে, অর্ধাহারে লাখো মানুষ। অন্ধকারে মানবতার জীবন যাপন পানিবন্দী মানুষের। ঘরে বাইরে পানি থাকায় নির্ঘুম রাত কাটছে লাখো মানুষের। চারদিকে পানি থৈ থৈ পানি। বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। যোগাযোগের মাধ্যম নৌকা। এর মধ্যেই বুধবার রাতে উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়ে ডাকাত আতঙ্ক। এলাকায় ডাকাত আসার খবরটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে যায়। ইঞ্জিন চালিত বোট নিয়ে এলাকায় ডাকাত আসছে এমন খবর প্রচার করা হয় মসজিদের মাইকেও। ফলে বানভাসি মানুষের মধ্যে তৈরি হয় ডাকাত আতঙ্ক।
উপজেলার ঢেমশা ইউনিয়নের বিল্লা পাড়ায় ডাকাতি করতে এসে বেশ কয়েকজন জনতার হাতে আটক হয়েছে– এমন ছবিও ছড়িয়ে গেছে ফেসবুকে। চরতি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. রেজাউল করিমের বাড়িতে ডাকাত প্রবেশ করার কথাও শোনা গেছে।
উপজেলার কেওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান আলী বলেন, ‘এলাকায় ডাকাত আসছে মর্মে আমার কাছে অনেকেই ফোনে জানিয়েছন। আমি যতদূর খবর নিয়ে জেনেছি ডাকাত আসার সত্যতা পাওয়া যায়নি। একটি গুজব বলে মনে হচ্ছে।’
এদিকে, সাতকানিয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কেরানিহাট এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক থেকে পানি নেমে যাওয়ায় শুরু হয়েছে যান চলাচল। নেমে গেছে চট্টগ্রাম-বান্দরবান সড়কের পানিও। ফলে ওই সড়কেও যান চলাচল শুরু হয়।