ভারী বর্ষণে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন ১৫ দিনব্যাপী আয়োজিত বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৩ এ অংশগ্রহণকারী নার্সারি মালিকরা।
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাঁকজমকপূর্ণভাবে শুরু হয়েছিল বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৩। তবে টানা চারদিনের ভারী বর্ষণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন অংশগ্রহণকারীরা। এবারের মেলায় ৭৩টি নার্সারি ও চারা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
ব্যবসায়িরা বলছেন ভারী বর্ষণে গাছ নষ্ট ও মারা যাওয়ায় প্রতিটি স্টল মালিকের কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্ছ দেড় লাখ টাকার মতো লোকসান হয়েছে। যার প্রতিটি গাছের মূল্য ১০ হাজার থেকে শুরু করে লাখ টাকা পর্যন্ত!
তবে শেষ সময়ে জমে উঠেছে বৃক্ষরোপন অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২৩। বেড়েছে দর্শনার্থী ও বৃক্ষপ্রেমী মানুষের সমারোহ। বেচা-বিক্রিও বেড়েছে আগের তুলনায় অনেকখানি।
মেলায় অংশ নেওয়া শান্তা নার্সারির মালিক পাভেল বলেন, ক্ষতির পরিমাণ বলে বোঝানোর মতো না। গাছ বিক্রি না হলেও লোকসান হতো না। তবে এই বৃষ্টিতে আমার প্রায় ৬০ হাজার টাকার গাছ মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রথম দিকে বৃষ্টির কারণে দর্শনার্থী কম থাকায় বেচা-বিক্রিও তেমন একটা হয়নি বললেই চলে। যেহেতু এখন দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে তাই শেষ সময়ে লোকসান কিভাবে কমানো যায় তা নিয়েই ভাবছি।
সবুজ মেলা নার্সারির মালিক তৌহিদ বলেন, আমি প্রতি বছর বৃক্ষ মেলায় স্টল বসাই। তবে কোনোবার এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি। বৃষ্টির পরিমাণ অধিক হওয়ায় আমার প্রায় ৩৫ হাজার টাকার গাছ নষ্ট হয়েছে।
শুধু শান্তা নার্সারি কিংবা সবুজ মেলা নার্সারি নয়, ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বৃক্ষ মেলায় অংশ নেওয়া প্রায় ৭৩ টি স্টলের সকলেই।
এবিষয়ে বনবিভাগের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা আসলাম বলেন, বৃষ্টির কারণে নার্সারি মালিকদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও দর্শনার্থী কম থাকায় বেচা-বিক্রিও হয়নি বললেই চলে। তবে শেষ সময়ে মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আমরা চাই না নার্সারি মালিকদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হোক। আর তাই স্টল মালিকদের অনুরোধে মেলার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এ মেলা ১৪ আগস্ট পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও স্টল মালিক কথা চিন্তা করে এর সময়সীমা বাড়িয়ে ১৮ আগষ্ট পর্যন্ত করা হয়েছে।