বাংলাধারা প্রতিবেদন »
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমদ সোহেল তাজের ভাগ্নে ইফতেখার আলম সৌরভকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের অভিযোগ, নগরীর এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কের জেরে তাকে অপহরণ করা হয়েছে।
গত ৯ জুন সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন আফমি প্লাজার সামনে থেকে তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
সৌরভ নগরীর পাঁচলাইশ থানার নাজিরপাড়া সিটি ভিউ আবাসিক এলাকার সৈয়দ মো. ইদ্রিস আলমের ছেলে। তিনি সোহেল তাজের মামাতো বোনের ছেলে। এ ঘটনায় পরদিন (১০জুন) সৌরভের পরিবার পাঁচলাইশ থানায় একটি জিডি করলেও পুলিশ এখনও তাকে উদ্ধার করতে পারেনি।

এদিকে, এদিকে শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে সোহেল তাজও তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে তার ভাগ্নেকে অপহরণের অভিযোগ আনেন। অপহরণকারীদের হুমকি দিয়ে পরিবারের কাছে তার ভাগ্নেকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছেন। অন্যথায় তাদের পরিচয় জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি। সোহেল তাজ এও লিখেছেন- এ ঘটনার আড়ালে কারা আছেন, তা তার জানা আছে।
সৌরভের পারিবারিক সূত্র জানায়, ব্যবসায়ী আবু সালেহ চৌধুরী আজাদ ওরফে সালেহ আজাদের মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক। তবে প্রেমের বিষয়টি সালেহ আজাদের মেনে না নেওয়ায় দু’জনের মধ্যে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে খালাতো ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় ওই মেয়ের। বিয়ের পরও তার মেয়ের সঙ্গে সৌরভ যোগাযোগ করছে অভিযোগ তুলে হুমকি-ধমকি দিতেন সালেহ আজাদ। সৌরভের পরিবারকেও বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলেন তিনি।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বনানী থানার ওসি সৌরভকে থানায় ডেকে নিয়ে সেখানে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও নাজেহাল করেন বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন। সৌরভকে ইয়াবা ও অস্ত্র দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে পুলিশ ইচ্ছেমতো মুচলেকা নেয় বলেও অভিযোগ করছেন তারা। পরে বনানী থানার এক এসআইকে দিয়ে সৌরভকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এ সময় ব্যবসায়ী সালেহ আজাদকে তার ব্যবসায়িক পার্টনার ওমর ফারুককে নিয়ে বনানী থানায় ঢুকতে দেখেন সৌরভ।
পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাসেম ভুঁইয়া বলেন, সৌরভকে ফোন করে এখানে ডেকে আনা হয়েছিল। তিনি আফমি প্লাজার সামনে এসেই নিখোঁজ হন। ওই ফোন নম্বর নিয়ে আমরা কাজ করছি।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর