চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, প্যানেল মেয়র-১ ও রামপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সবুর লিটনের জন্মদিন আজ ২১ আগস্ট। কিন্তু নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল এইদিনের শোকে তিনি তাঁর জন্মদিন পালন করেন না।
জন্মদিনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আমার জন্মদিন পালন করি না। কারণ একেতো চলছে শোকাবহ আগস্ট। তার মধ্যে আজ বেদনাদায়ক একুশে আগস্ট। ঢাকায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার এক সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার দিন। এই আগস্ট হলো শোকের মাস। এ মাসে জন্মদিন উদযাপন করা আমার জন্য সাজে না।’
প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন বলেন, ‘গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশা অনুসারে আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই। আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনে কাজ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আর সেই সঙ্গে সংগঠনকে সুশৃঙ্খল ও শক্তিশালী করতে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছি।’
আবদুস সবুর লিটন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী এবং দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার একজন সৈনিক। পেশায় ব্যবসায়ী হলেও রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক হিসেবে পরিচিতি অনেক বেশি। তরুণ নেতৃত্বের মধ্যে তাঁর অ্যাডভান্সড এডুকেইটেড ও সফিস্টিকেটেড বিদ্যমান।বিভিন্ন সামাজিক এবং উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বরাবরাই অবদান রেখে চলেছেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হয়ে জনপ্রিয়তা পায় তরুণ এই আওয়ামীলীগ নেতা। শুধু তাই নয় সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ হয়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। রাজনীতিতে হয়ে উঠেছেন নির্লোভ, সৎ, ত্যাগী ও সাহসী নেতা। রাজপথের এই লড়াকু যোদ্ধা দিন দিন প্রতিটা কর্মীর কাছে হয়ে উঠেছেন অসাধারণ ও নির্ভরযোগ্য এক মুজিব আদর্শের পথিকৃৎ।
তিনি অনেক বাধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি তার পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সঠিক ও সুচারুভাবে বাস্তবায়নের জন্য, সর্বোপরি শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এবং প্রতিটি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জয়লাভের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
তারুণ্যের প্রতীক এ ব্যক্তি তার বয়স ও অভিজ্ঞতা দুটিকেই হার মানিয়েছেন। তার কর্মকাণ্ডে মনে হয় তিনি তরুণ নয়। তিনি অনেক প্রবীণ। অল্প বয়সেই তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে অনেক। এ সকল সফল মানুষের পেছনে আছে কিছু গল্প, তা অনেকটা রূপকথার মতো। আর সেসব গল্প থেকে মানুষ খুঁজে নেয় স্বপ্ন দেখার সম্বল, এগিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন প্রেরণা।
মেধা, মনন, কর্ম প্রয়াস শ্রম ও অধ্যাবসায়ের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে গড়েছেন পরিশীলিত এক উজ্জ্বল অধ্যায়ে। এলাকার গরিব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সর্বোপরি গরিব মেহনতি মানুষের প্রকৃত জনদরদি হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।
সামাজিক সচেতনতা এবং মানবিক সেবার অনন্য উদ্যোগ তাকে একজন মানবদরদি ও মহতি মানুষের উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করেছে। তিনি এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। তিনি এ পর্যন্ত তার নির্বাচনী ওয়ার্ড ২৫নং রামপুরের বিভিন্ন রাস্তার উন্নয়নসহ স্কুল, মাদ্রাসা, কবরস্থান, মসজিদ, ঈদগাঁমাঠ সংস্কার করে গরিব দুঃখী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা সঠিকভাবে বিতরণ করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে কাউন্সিলর কার্যালয়ে সালিসের মাধ্যমে রামপুর ওয়ার্ডের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে যাচ্ছেন।