spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদঅর্থনীতি'শ্রমিক-মালিক সু-সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখা হবে'

‘শ্রমিক-মালিক সু-সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখা হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_img

বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দাবস্থায় রপ্তানি আদেশ স্বল্পতাসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে পোশাক শিল্প বর্তমানে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেও রপ্তানির টার্গেট অর্জনে শিল্প মালিক-শ্রমিকগণ নিরসল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

সোমবার (২১ আগস্ট) বিকেলে খুলশীস্থ বিজিএমইএ ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, চট্টগ্রাম-এর পরিচালক  সালাহউদ্দিন মাহমুদের সাথে বিজিএমইএ’র এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম আরও বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিরাপদ পরিবেশ বান্ধব ও কমপ্লায়েন্ট হওয়ার কারণে বিশ্ব বাজারে প্রশংসিত হচ্ছে। এ অবস্থায় শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক আরো বৃদ্ধির মাধ্যমে শ্রম পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে বিজিএমইএ শ্রম অধিদপ্তরের সাথে যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনাকাঙ্খিত যে কোন শ্রম অসন্তোষ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে বিজিএমইএ তথা পোশাক শিল্প মালিকগণ সচেষ্ট রয়েছে। দেশের অর্থনীতি তথা জাতীয় রপ্তানি বৃহত্তর স্বার্থে শান্তিপূর্ণ শ্রম পরিস্থিতি বজায় লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

এসময় মত বিনিময় সভায় বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি  রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, শফিউল করিম (খোকন), এম. এহসানুল হক, প্রাক্তন পরিচালক মোহাম্মদ মুসা, শেখ সাদী, আমজাদ হোসেন চৌধুরী সহ পোশাক শিল্পের মালিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বিভাগীয় শ্রম দপ্তর, চট্টগ্রাম-এর পরিচালক  সালাহউদ্দিন মাহমুদ- বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান ও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য পোশাক শিল্প মালিক তথা বিজিএমইএ’কে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, পোশাক শিল্পের সূচনা চট্টগ্রাম থেকে হলেও অবকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যার কারণে বর্তমানে চট্টগ্রামে পোশাক শিল্প খুবই নাজুক পরিস্থিতিতে রয়েছে। চলমান অর্থনৈতিক সংকটকালে পোশাক শিল্প ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এ’অবস্থায় কারখানায় বিভিন্ন অজুহাতে স্বার্থান্বেষী মহলের উস্কানিতে শ্রম অসন্তোষ সৃষ্টির প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। শ্রম ঘন পোশাক শিল্পে শ্রমিক মালিক একই পরিবারভূক্ত। বর্তমানে বিদেশী ক্রেতাদের কমপ্লায়েন্স সংক্রান্ত বাধ্যবাধকতার কারণে সময় মত বেতন পরিশোধ সহ ফায়ার সেইফটি ও অন্যান্য বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কারখানায় শ্রম পরিস্থিতির উন্নতিকল্পে বিজিএমইএ শ্রম দপ্তরের সহিত সমন্বয় সাধন পূর্বক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বিধায় চট্টগ্রামে পোশাক খাতে শ্রম অন্তোষ অনেকাংশ কম।

তিনি আরো বলেন, পোশাক শিল্প টিকে থাকলেই কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং দেশের অর্থনীতি টিকে থাকবে। এ লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির টার্গেট অর্জনের জন্য ঐক্যবদ্ধ ভাবে কার্যক্রম পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিজিএমইএর পরিচালক  এমডি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, প্রাক্তন পরিচালক  মোহাম্মদ মুসা, শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক  শফিকুর রহমান, সাব্বির ভূঁইয়া, মাকসুদুল আলম প্রমুখ।

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ