চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বগি ভিত্তিক সিক্সটি নাইন গ্রুপের অনুসারী রাজু মুন্সির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত রাজু মন্সি বলেন, ‘আমাকে পুলিশে নিয়ে গেলে শেখ হাসিনা ফোন দিয়ে ছাড়াবে৷ আমি শেখ হাসিনার রিজার্ভ ফোর্স।’
মারধরের ঘটনায় ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে প্রায় ৩ ঘন্টা ক্যাম্পাসে পানি,বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখে প্রকৌশল দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
রবিবার কাটা পাহাড় রাস্তা দিয়ে আসার সময় মারধরের শিকার ও লাঞ্ছিত হন বলে অভিযোগ করেন প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর ফজল। অন্যদিকে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাজু মুন্সি সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে তাকে (আবদুর রাজ্জাক) লাঞ্ছিত করেন।
ঘটনার বিচার চেয়ে উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর ফজল ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মো. আবদুর রাজ্জাক।
প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর ফজল বলেন, ‘কাটা পাহাড়-এলাকায় সাইট পরিদর্শনকালে রাজু মুন্সি আমার দিকে ধেয়ে আসে আমাকে কিল-ঘুষি মারে এবং পরবর্তী সময়ে রেজিস্ট্রার অফিসের সামনেও অসংখ্য লোকের সামনে আমাকে মারতে ধেয়ে আসে। উপস্থিত লোকজন না থাকলে আমার প্রাণনাশের আশঙ্কা ছিল।’
চবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, “রাজু মুন্সি সকালে আমার অফিসে এসে এক প্রহরীকে বলে আমি যেন তার জন্য ১০ হাজার টাকা রেডি রাখি। ৩০ মিনিট পরে এসে সে বলে, ‘এখান থেকে বেরিয়ে যা, নাহলে তোকে মারব।’ সে উত্তেজিত হয়ে গেলে আমি সেখান থেকে প্রক্টর অফিসে এসে বিষয়টি জানাই।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাজু মুন্সি বলেন, ‘তারা দুইজন (প্রকৌশলী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা) বিভিন্ন অনিয়মে জড়িত। আমি প্রতিবাদ জানিয়েছি। আমি প্রতিবাদ জানানোয় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। আমার প্রতিবাদের ভাষা একটু বাজে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোগ দিছে; সমস্যা নাই। আমি তো জামায়াত-শিবির, বিএনপি না। আমার নামে অভিযোগ সামনে আরও হবে। আমাকে পুলিশে নিয়ে গেলে শেখ হাসিনা ফোন দিয়ে ছাড়াবে৷ আমি শেখ হাসিনার রিসার্ভ ফোর্স। নির্বাচনে আমাকে কাজে লাগবে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমদ বলেন, ‘উপাচার্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।