spot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদচট্টগ্রামচবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় ২ মামলা, আসামি ৫০০

চবিতে ভাঙচুরের ঘটনায় ২ মামলা, আসামি ৫০০

বাংলাধারা প্রতিবেদক
spot_img

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাটল ট্রেনে দুর্ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে উপাচার্যের বাংলো, শিক্ষক ক্লাব এবং পরিবহন ভাঙচুরের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটিতে সাতজন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে হাটহাজারী থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কেএম নুর আহমেদ ও ভারপ্রাপ্ত নিরাপত্তা প্রধান শেখ মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বাদি হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের বটতলী স্টেশন থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে আসা রাত সাড়ে ৮টার শাটলট্রেন চৌধুরীহাট এলাকায় এলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী। ঘটনার পর ঐদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাটলট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ বক্সের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তারা উপাচার্যের বাংলো, শিক্ষক ক্লাব এবং পরিবহন দফতরে থাকা অন্তত ৬৫টি গাড়ি ভাঙচুর করেন।

এ বিষয়ে শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে তিনটি মামলা করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তবে একদিন পর জানা গেলো মামলা হয়েছে দুইটি।

মামলার বিষয়ে জানতে প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদারের সঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন। আমি অসুস্থ। পরে এ ব্যাপারে কথা বলবো।

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, দুটি মামলা হয়েছে। তবে কতজনকে আসামি করা হয়েছে বিষয়টি আমি এখনো নিশ্চিত করতে পারছি না।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেনের বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় চবি প্রশাসনের পক্ষে হাটহাজারী থানায় দুটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। চাঁদা দাবি ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। মামলা দুটিতে সাতজন করে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন।

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ