spot_imgspot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
শনিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদচট্টগ্রামচট্টগ্রামের জশনে জুলুসে ব্যাপক জনসমাগমের আশা

চট্টগ্রামের জশনে জুলুসে ব্যাপক জনসমাগমের আশা

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার)। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রতি বছরের মতো এবারও জশনে জুলুসের আয়োজন করা হয়েছে। এটি জুলুসের ৫১তম আয়োজন। এবারের জুলুসে ৫০ লাখের বেশি মানুষের সমাগমের আশা করছেন আয়োজকরা।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

এতে জানানো হয়, জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন দরবারে আলিয়া কাদেরিয়া সিরিকোট শরিফের হুজুর কেবলা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ.)। উপস্থিত থাকবেন সাজ্জাদানশিন পীর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ (ম.জি.আ.) ও শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (ম.জি.আ.)।

আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট্রের সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় জশনে জুলুস আমাদের চট্টগ্রামে হয়। এটি এখন চট্টগ্রামের ঐতিহ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা চট্টগ্রামের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য কালচারের বহি:প্রকাশ। আর আমরা চাই এই ঐতিহ্য গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে স্থান পাক এবং বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা লাভ করুক। এজন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকরা এই জুলুসকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরলে এটি নিশ্চয়ই গিনেজ বুকে এবং বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পাবে।

এবার জুলুস জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ-এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়বিয়া থেকে সকাল আটটায় শুরু হবে। বিবিরহাট, মুরাদপুর, মির্জাপুল, কাতালগঞ্জ, চকবাজার অলিখাঁ মসজিদ, প্যারেড মাঠের পশ্চিম পাশ হয়ে, চট্টগ্রাম কলেজ, গণিবেকারি, খাস্তগীর স্কুল, আসকার দীঘি, কাজীর দেউড়ি, আলমাস, ওয়াসা, জিইসি, দুই নম্বর গেট হয়ে জামেয়া মাদ্রাসা মাঠে মাহফিলে আসবে। জোহর নামাজের পর দোয়া ও মোনাজাত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আনজুমান-এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি মো. শামসুদ্দিন, গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, জামেয়ার অধ্যক্ষ আল্লামা আবদুল আলিম রিজভি, পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি আবু ইয়াহিয়া মো. মহসিন, গাউসিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার, নগর সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল্লাহ, উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক মাস্টার হাবিব উল্লাহ, ট্রাস্টের মো. মাহবুবুল আলম, এনামুল হক বাচ্চু, জুলুস মিডিয়া কমিটির কো-অর্ডিনেটর দিলশাদ আহমেদ, আবু তালেব বেলাল প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জশনে জুলুস ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে আয়োজক কর্তৃপক্ষের মতবিনিময় হয়েছে। সর্ব্বোচ্চ নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও জুলুসের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতি বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কলা, পাউরুটি, কমলা, চকলেট, শরবতসহ বিভিন্ন প্রকার খাদ্য বিতরণে রয়েছে আলাদা নির্দেশনা। কোন ধরণের দুর্ঘটনা কিংবা অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতির সৃষ্টি যেন না হয় সেজন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট সকলকে।

প্রসঙ্গত, ১৯৭৪ সালের ১২ রবিউল আউয়াল বাংলাদেশে প্রথম জুলুসের সূচনা হয় গাউসে জামান আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.) এর দিকনির্দেশনায়। চট্টগ্রামের বলুয়ার দীঘির পাড় খানকাহ শরিফ থেকে আনজুমানের তৎকালীন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নূর মোহাম্মদ আলকাদেরির নেতৃত্বে জুলুসটি বের হয়েছিল।

আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তৈয়ব শাহ (র.) চট্টগ্রামে জুলুসের নেতৃত্ব দেন ১৯৭৬ সালে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত তিনি জুলুসে নেতৃত্ব দেন। ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি আর বাংলাদেশে আসেননি। তখন থেকে জুলুসে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হুজুর কেবলা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (মজিআ)। এটি তাঁর নেতৃত্বে ৩৫তম জুলুস।

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ