চলতি বছরের ডিসেম্বর হতে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রীডে পরিপূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. তফাজ্জল হোসেন মিয়া।
ইতোমধ্যে এই কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামুলক ভাবে জাতীয় গ্রীডে বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি সমুদ্রবন্দর ও কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান তিনি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরো জানান, সরকার মাতারবাড়ীকে কেন্দ্র করে মহেশখালীতে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর, এসপিএম প্রকল্প ধলঘাটা অর্থনৈতিক অঞ্চল। মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১২শ’ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিটের মধ্যে ৬০০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিটে পরীক্ষামূলক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে এই ইউনিটের উৎপাদিত পুরো বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ করা হবে। ইতোমধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৬০ দিনের কয়লা মজুদ রাখা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে মূখ্য সচিব বলেন, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজও চলমান রয়েছে। এখন থেকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ কাজ তদারকি করবে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তফাজ্জল হোসেন মিয়া চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি নৌযানে মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্র বন্দরের জেটিতে পৌঁছান।
সেখান থেকে নির্মাণাধীন বন্দর এলাকায় গিয়ে তিনি সমুদ্র বন্দর ও কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এরপর তিনি মহেশখালীর সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
এসময় পরিদর্শন দলে ছিলেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিদুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল আহমেদ, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলামসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।