বাংলাধারা ডেস্ক »
দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই দেখা যাবে অন্য এক পৃথিবী! চেয়ার, টেবিল, বিছানা, ফুলের তোড়া এমনকি টয়লেটের কমোডও উল্টো হয়ে ঝুলে আছে! পৃথিবী উল্টে গেছে নাকি আপনিই উল্টে গেলেন? এমন প্রশ্ন হাতড়াতে হাতড়াতে পাশের রুমে গিয়ে দেখবেন রঙিন সিঁড়ি। তবে সেটা ফ্লোর থেকে উঠছে না, নেমে আসছে সিলিং থেকে! গোলকধাঁধাময় রূপকথার এই রাজ্য গড়ে তোলা হয়েছে রাজধানীর লালমাটিয়াতে।
‘আপসাইড ডাউন’ গ্যালারি গত মাসে শুরু হলেও, এর মধ্যেই এটি বেশ সাড়া ফেলেছে বিনোদনপ্রেমীদের কাছে। আপসাইড ডাউনের উদ্যোক্তা চার বন্ধু। ঢাকাবাসীর বিনোদন আজকাল রেস্টুরেন্টকেন্দ্রিক হয়ে পড়েছে। নতুন ধরনের বিনোদন কেন্দ্র কী করা যায় এটা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই এই উল্টো পৃথিবীর পরিকল্পনা আসে মাথায়।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভিজুয়াল ইলিউশন গ্যালারি থাকলেও বাংলাদেশে প্রথমবারের মত তৈরি হল এ ধরণের গ্যালারি, বললেন আপসাইড ডাউনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ইশতিয়াক মাহমুদ অনিক। বাকি তিন উদ্যোক্তা হলেন শাফি আহমেদ জনি, আসিফুর রহমান ও মাহবুব ইমেল।
অনিক জানান, প্রায় এক বছরের প্রচেষ্টা ও পরিশ্রমের পর মে মাসের ১৭ তারিখ গ্যালারি উন্মুক্ত করি দর্শকদের জন্য। যথেষ্ট শঙ্কা ছিল, যেহেতু দেশে একেবারেই নতুন এ ধরনের গ্যালারি। পাশাপাশি চ্যালেঞ্জের বিষয় ছিল অনেক। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল সেফটি ইস্যু। কোনও ধরনের দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেটা নিয়ে থাকতে হয়েছে সচেতন। তবে আশার কথা, দর্শকদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।

তিনি বলেন, একবারে ৫০ জনের বেশি প্রবেশ করতে পারেন না গ্যালারিতে। অনেকেই অপেক্ষা করেন বাইরে। তবে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও প্রবেশ করে সবাই উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন। ভুলে যান অপেক্ষা করার বিরক্তি। এটাই আমাদের জন্য বিশাল প্রাপ্তি। দর্শক যেন একঘেয়েমিতে না ভোগেন সেজন্য কিছুদিন পর পর বদলে ফেলা হবে রুমের ইন্টেরিওর। এছাড়াও আরও কয়েকটি রুমের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
গ্যালারি ঘুরতে আসা আসিফ ও জিনিয়া উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, দেশের বাইরে এই ধরনের গ্যালারির অনেক ছবি দেখতাম। এবার নিজ শহরে এমন কিছু পেয়ে খুব ভালো লাগছে। এখানকার স্টাফদের ব্যবহারও অত্যন্ত অমায়িক।
উল্টো পৃথিবীতে প্রবেশ করতে চাইলে টিকিটের মূল্য গুণতে হবে ৪৫০ টাকা। তবে ঈদ উপলক্ষে জুন মাসজুড়ে ৪০০ টাকা রাখা হচ্ছে মূল্য।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম