spot_imgspot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদবন্দর নগরীবাবার হত্যাকারী সেই ছেলে গ্রেফতার

বাবার হত্যাকারী সেই ছেলে গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেডে হাসান আলী নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর কেটে টুকরো করার মামলায় ছেলে শফিকুর রহমান জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকার হাজারিবাগ এলাকায় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ভুক্তভোগীর কাটা মাথা উদ্ধারে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর কর্মকর্তারা। এর আগে গত ২ অক্টোবর জাহাঙ্গীরের স্ত্রী আনারকলিকে নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান জানান, হাসান আলী হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত তার ছেলে শফিকুর রহমান জাহাঙ্গীরকে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকার হাজারিবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। হাসান আলীর কাটা মাথা উদ্ধারে পতেঙ্গা সৈকত এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। শফিকুর রহমান জাহাঙ্গীরের বাসায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর হাসানের মরদেহ খণ্ড-খণ্ড করে আনারকলির লাগেজে করে ফেলে দেওয়া হয়। আরেকটি থলেতে ভরে কাটা মাথা ফেলে দেওয়া হয়। এছাড়া শরীরের কিছু অংশ আকমল আলী রোডের একটি খালে ফেলে দেওয়া হয়।

এর আগে হাসান আলীর মরদেহের আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্ত করে পিবিআই। গত ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে ইপিজেড থানার আকমল আলী রোড এলাকায় একটি বস্তা থেকে তার শরীরের অবশিষ্ট অংশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্ত্রী ছেনোয়ারা বেগম, সন্তান মোস্তাফিজুর রহমান ও শফিকুর রহমান জাহাঙ্গীরের স্ত্রী আনারকলিকে গ্রেফতার করে পিবিআই। এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর রাতে লাগেজের ভেতর থেকে মরদেহের হাত-পা ও আঙুলের ৮ টুকরা খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছিল। ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করে পিবিআই।

পিবিআই এর জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, মো. হাসান দীর্ঘ ২৭ বছর আলাদা ছিলেন। সম্প্রতি তিনি স্ত্রী-সন্তানের কাছে ফিরে আসেন। তবে এর আগে হাসানকে মৃত উল্লেখ করে সন্তান মোস্তাফিজুর জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে। তিনি ফিরে আসায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জেরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে আকমল আলী সড়কের জমির ভিলার ৭ নম্বর বাসায় স্ত্রী ও সন্তান মিলে তাকে হত্যা করে। এরপর মরদেহ কেটে টুকরা করে লাগেজ ও বস্তায় ভরে পতেঙ্গা ও আকমল আলী রোডের পাশে ফেলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ