বৈরী আবহাওয়ার কারণে হঠাৎ জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি’র) ৩৮ শিক্ষার্থীসহ দেড় শতাধিক পর্যটক চারদিনের মাথায় টেকনাফে ফিরেছেন।
শনিবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পর্যটক বাহী জাহাজ এমভি বার’ আউলিয়া করে আটকা পড়া পর্যটকরা সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাটে এসে নামেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।
ইউএনও বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারনে গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তর কতৃর্ক বঙ্গোপসাগরে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত জারি করেন। এ কারনে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়।
নৌ-পথ বন্ধের পর দ্বীপে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা সেখানে আটকা পড়েন। উপজেলা প্রশাসনেন পক্ষ থেকে দ্বীপ এলাকাসহ পর্যটকদের অবগতির জন্য মাইকিং এবং প্রেস রিলিজের মাধ্যমে সকলকে জানানো হয়েছিল।শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে আবহাওয়া অধিদপ্তর ৩ নম্বর সর্তক সংকেত প্রত্যাহার করায় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। ফলে এমভি বার’ আউলিয়া জাহাজ করে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকরা শনিবার সন্ধ্যায় টেকনাফ দমদমিয়া জেটিঘাটে নিরাপদে ফিরে আসেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গোপসাগর থেকে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত প্রত্যাহারের পর শনিবার সকালে টেকনাফ দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে সেন্টমার্টিন উদ্দেশ্য রওনা দেয় এমভি বার আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্দাবাদ। যেসব পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়ছিল তারা আজ ফিরে আসেন।