ধর্মশালার মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফিল্ডংয়ে নামে বাংলাদেশ। ৫০ ওভার খেলা শেষে বাংলাদেশকে পাহাড়সম লক্ষ্য দিয়ে পিস ছাড়লো ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) হিমাচল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান তুলে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪০ রান করেছেন মালান।
শুরুতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ দল ভালো করলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ধার হারিয়েছেন তাসকিন-মুস্তাফিজরা। সেই সুযোগেই চড়াও হয়েছেন ইংলিশ ব্যাটাররা। বিশেষ করে ডেভিড মালান। এই ওপেনার এদিন রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দেন। মালানের সেঞ্চুরি আর জো রুটের হাফ সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছে ইংল্যান্ড।
তবে প্রথম উইকেটটা অবশ্য এনে দিয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফ্লিক করতে গিয়ে সাকিবের স্লোয়ারে বোল্ড হন ৫৯ বলে ৫২ রান করে। হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনে নামা জো রুটও। বিশ্বকাপে তৃতীয়বারের মতো কোনো দলের তিন টপ-অর্ডার ব্যাটার বাংলাদেশের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি ছুন।
পরের গল্পটা শরিফুল ইসলামের। এমনিতে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জশ বাটলারকে ফিরিয়েছিলেন তিনি। পরে জাগিয়ে তোলেন হ্যাটট্রিক সম্ভাবনাও। টপ এজ হয়ে জো রুট ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিম, ততক্ষণে তিনি করেছেন ৬৮ বলে ৮২ রান। পরের বলেই লিয়াম লিভিংস্টোনকে গোল্ডেন ডাক উপহার দেন শরিফুল। হ্যাটট্রিকটা অবশ্য শেষ অবধি পূরণ করতে পারেননি তিনি।
অন্যপ্রান্তে থাকা হ্যারি ব্রুক এরপর হাত খুলতে শুরু করেছিলেন। তবে ৪৫তম ওভারে তাকে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান মাহেদী হাসান। বিদায়ের আগে ১৫ বলে ২০ রান করেন ব্রুক। এরপর স্যাম কারানকেও (১১) ফেরান মাহেদী। কারান উড়িয়ে মারেন লং অফের দিকে। সেখানে থাকা শান্ত দৌড়ে গিয়ে লাফিয়ে দারুণ এক ক্যাচ নেন। এরপর আদিল রশিদ (১১)-কে মাহেদী এবং ক্রিস ওকস (১৪)-কে বিদায় করেন তাসকিন আহমেদ। তবে ইংল্যান্ডকে অলআউট করা সম্ভব হয়নি।
বল হাতে ৪ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের ডানহাতি অফ-স্পিনার মাহেদী হাসান। ৩ উইকেট গেছে শরিফুল ইসলামের ঝুলিতে। এছাড়া ১টি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন তাসকিন ও সাকিব আল হাসান। শুধুমাত্র সাকিব (১০ ওভারে ৫২) এবং তাসকিন (৬ ওভারে ৩৮ রান) ছাড়া আর সবাই রান করেছেন দেদারসে।