spot_imgspot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদখেলাধূলাবড় ব্যবধানেই হারলো বাংলাদেশ

বড় ব্যবধানেই হারলো বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

৩৬৫ রানের বিশাল লক্ষ্য। বাংলাদেশের হারটা ছিল প্রায় অবধারিত। অতিমানবীয় কিছু না ঘটলে ইংল্যান্ডই জিতবে এই ম্যাচে- এটা ছিল জানা কথা। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে কতদূর যেতে পারে, সেটাই ছিল সবার দেখার বিষয়। জিততে না পারলেও টাইগার ব্যাটারদের কাছ থেকে ব্যাট হাতে ভালো পারফরম্যান্স আশা করেছিলো সবাই।

কিন্তু লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম আর তাওহিদ হৃদয়ছাড়া আর কারো ব্যাটই কথা বলতে পারেনি ইংলিশ বোলিংয়ের বিপক্ষে। যার ফলে ৪৮.২ ওভারে ২২৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ এবং ইংল্যান্ডের জয় ১৩৭ রানের বড় ব্যবধানে।

দিল্লিতে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কা ম্যাচে দেখা গিয়েছিলো, প্রোটিয়ারা প্রথমে ব্যাট করে ৪২৮ রান করেছিলো। জবাবে শ্রীলঙ্কা জিততে পারবে না জেনে সেভাবে ব্যাটিং করে ৩২৬ রান পর্যন্ত গিয়েছিলো। এই ব্যাটিংটাই তাদেরকে আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছিলো। যে কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ৩৪৪ রান সংগ্রহ করে নিয়েছিলো।

বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কাকে অনুসরণ করতে পারতো। ৩৬৪ রান তাড়া করতে পারবে না ঠিকই; কিন্তু সবাই আশা করেছিলো বাংলাদেশও ব্যাট হাতে ৩০০ কিংবা তার আশ-পাশ পর্যন্ত স্কোরকে নিয়ে যেতে পারবো। অথচ, ব্যাটারদের সে পরিকল্পনা ছিল কি না জানা নেই। হয়তো বা ছিল না। কারণ, তাদের ব্যাটিং দেখে সেটা মোটেও মনে হয়নি।

যে পিচে মালান-রুটরা রীতিমত স্টিমরোলার চালালেন বাংলাদেশের ওপর, সেই পিচে দাঁড়াতেই পারছিলেন না টাইগার ব্যাটাররা। ৩৬৫ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৬ রানের মধ্যে ৩ উইকেট নেই বাংলাদেশের। এরপর ৪৯ রানে হারায় ৪র্থ উইকেট।

ক্রিস ওকসের করা প্রথম ওভারে লিটন দাস টানা তিন বাউন্ডারি হাঁকালে নড়েচড়ে বসেছিলেন টাইগার সমর্থকরা। কিন্তু পরের ওভারেই সেই ঘোর ভাঙলো।

রিসি টপলি টানা দুই বলে সাজঘরে ফিরিয়ে দিলেন তানজিদ তামিম আর নাজমুল হোসেন শান্তকে। তামিম দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দেন ১ করে, পরের বলে শান্ত (০) ড্রাইভ করে পয়েন্টে ধরা পড়েন লিভিংস্টোনের হাতে। এরপর সাকিব আল হাসানকেও (৯ বলে ১) বোল্ড করেছেন টপলি।

৪৯ রানের মধ্যেই ৪জন সেরা ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকার পর বাংলাদেশকে যে কত বড় ব্যবধানে হারতে হয়, সে শঙ্কাটা দেখা দেয়। তবে টানা ৪ উইকেট পড়লেও একপ্রান্ত আগলে ব্যাট করতে থাকেন ওপেনার লিটন দাস। তার সঙ্গে জুটি বেধে বাংলাদেশকে ঘুরে দাঁড়াতে সহযোগিতা করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।

এরই মধ্যে লিটন দাস হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন। ক্যারিয়ারের ১০ম হাফ সেঞ্চুরি তিনি পূরণ করেছেন ৩৮ বল খেলে। ৭টি বাউন্ডারি এবং একটি ছক্কার মার মেরে। কিন্তু লিটন অসাধারণ ব্যাটিং করে বিপর্যয় থেকে ফিরিয়ে আনলেও, হঠাৎই খেই হারিয়ে ফেললেন তিনি। ক্রিস ওকসের বলে ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন লিটন দাস।

সে সঙ্গে শেষ হয়ে গেলো সম্ভানাময়ী একটি ইনিংসের। ৬৬ বলে ৭৭ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন তিনি। ৭টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার মারেন লিটন। তার আগে তিনি মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৭২ রানের জুটি গড়েন।

এরপর জুটি বাধেন মুশফিক এবং তাওহিদ হৃদয়। দু’জনের ব্যাটে ৪৩ রানের জুটি গড়ে ওঠে। হাফ সেঞ্চুরি করেন মুশফিকও। ৬৪ বলে ৫১ রানে আউট হয়ে যান তিনি রিসি টপলির বলে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে। তাওহিদ হৃদয়ও একটা মোটামুটি মানের ইনিংস উপহার দেন। ৬১ বলে করেন ৩৯ রান।

১৪ রান করে আউট হন শেখ মেহেদি হাসান। তাসিকন আহমেদ করেন ১৫ রান। ১২ রান করে আউট হন শরিফুল ইসলাম। মোস্তাফিজ ৩ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ ব্যাটার হিসেবে তাসকিন আউট হতেই ২২৭ রানে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।

ইংলিশ পেসার রিসি টপলি ৪ উইকেট নেন। ২ উইকেট নেন ক্রিস ওকস এবং ১টি করে উইকেট নেন স্যাম কারান, মার্ক উড, আদিল রশিদ এবং লিয়াম লিভিংস্টোন।

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ