আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে নতুন করে আবারও ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত শহরে আঘাত হানা এই কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৩। ভূমিকম্পের ঘটনায় অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
রোববার (১৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে কয়েকদিন আগে দুটি বড় কম্পনের পর ফের নতুন করে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সপ্তাহখানেক আগে আঘাত হানা সেই কম্পনে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত শহরের কাছে ৬.৩ মাত্রার ওই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬.৩ কিমি (চার মাইল) গভীরতায় আঘাত হানে এই ভূমিকম্পটি।
বিবিসি বলছে, সর্বশেষ ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। অবশ্য জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, আগের ভূমিকম্পগুলোতে যারা মারা গেছেন তাদের ৯০ শতাংশেরও বেশি ছিলেন নারী ও শিশু।
ইউএসজিএস তার প্রতিবেদনে বলেছে, সর্বশেষ কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ইরানের সীমান্তের কাছে অবস্থিত আফগানিস্তানের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হেরাত থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।
এর আগে গত সপ্তাহের শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পর পাঁচটি বড় ধরনের আফটারশক হয়েছে; যার কেন্দ্রস্থল ছিল ওই অঞ্চলের বৃহত্তম শহরের কাছে।
কর্মকর্তাদের মতে, জিন্দা জান ও ঘোরিয়ান জেলার ১২টি গ্রাম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। পরে দেশটির ক্ষমতাসীন তালেবান প্রশাসন জানায়, ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৪৪৫ জনে পৌঁছেছে।
হেরাতের পূর্বাঞ্চলে ১২০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ইরানের সাথে। এই শহরটিকে আফগানিস্তানের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে মনে করা হয়। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, হেরাত প্রদেশের রাজধানী হেরাত শহরে ১৯ লাখ মানুষ বসবাস করেন।