চাঁদা দাবী ও মারধরের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার জামিন নিতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন মো. সেকান্দর হোসেন চৌধুরী (৩৬) নামের এক ইউপি সদস্য।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন জানালে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
গ্রেফতারকৃত সেকান্দর হোসেন চৌধুরী ইসলামপুর ইউনিয়নের মৃত ফরিদ আহমদ চৌধুরীর সন্তান এবং ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পিএফ জায়গায় বসতি স্থাপন করে বসবাস করে আসছে জাহান আরা বেগম (৪৯)। সরকারি জায়গায় থাকে এমনটি জানিয়ে পাঁচলক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেকান্দর হোসেন চৌধুরী (৩৬)। দাবিকৃত টাকা না দিলে বসতির জায়গার মাটি বিক্রি ও গাছপালা কেটে উচ্ছেদের ভয় প্রদর্শন করে। একপর্যায়ে বাধা দিলে ভুক্তভোগী নারী জাহান আরা বেগমের উপর চড়াও হয় সেকান্দর। একপর্যায়ে তাকে এবং মেডিকেলে পড়া তার মেয়েকেও মারধর করে ইউপি সদস্য সেকান্দর হোসেন চৌধুরী।
পরে ভুক্তভোগী জাহান আরা বেগম বিজ্ঞ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট-২ চট্টগ্রাম আদালতে ৪ জনকে আসামি ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা দায়ের করে। ওই মামলার প্রধান আসামি ছিল মো. সেকান্দর হোসেন চৌধুরী (৩৬)। অন্যান্য আসামিরা হলেন, মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (৩৫), মো. পারভেজ হোসেন চৌধুরী (৩০), মো. সালাউদ্দিন (৪০)।
ভুক্তভোগী নারী জাহান আরা বেগম বলেন, মামলা করার পর ইউপি সদস্য মো. সেকান্দর হোসেন চৌধুরী মামলা তোলে নেওয়ার জন্য আমাদের উপর চাপ দিতে থাকে। মামলা তোলে না নেওয়ায় ২১ সেপ্টেম্বর আমার স্বামী মাস্টার মোহাম্মদ আবুল কালামকে স্থানীয় বাজারে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়।
বাদিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট নিখিল কুমার নাথ জানান, বাদি মামলা করার পর আদালত FIR হিসেবে গণ্য করে। পরে আসামিরা হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেয়। পরে মামলার প্রধান আসামি মো. সেকান্দর হোসেন চৌধুরী (৩৬) আজ চিফ জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ১৪ আগস্ট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন জাহান আরা বেগম।