spot_imgspot_imgspot_img
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত। রেজি নং-৯২
বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রচ্ছদআবহাওয়াজোড়া ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস!

জোড়া ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস!

বাংলাধারা ডেস্ক
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

আরব সাগরে ইতোমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘তেজ’। এটি ধীরে ধীরে শক্তি অর্জন করছে। ওই ঝড়ের প্রভাবে দেশের আকাশে মেঘের আনাগোনা বেড়েছে। এর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বঙ্গোপসাগরেও আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

বঙ্গোপসাগরের পশ্চিম-মধ্য এলাকায় সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এটি আজ সোমবারের (২৩ অক্টোবর) মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে ‘হামুন’।

তবে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ বাংলাদেশ বা ভারতের উপকূলের দিকে আসবে নাকি দুর্বল হয়ে সাগরে মিলিয়ে যাবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না আবহাওয়াবিদেরা। যদিও এর প্রভাবে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে বলে ধারণা তাদের।

কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ২৪, ২৫, ২৬ এবং এর পরবর্তী তিন দিন খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট এবং বরিশাল বিভাগের বরগুনা-এসব উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুট, কোনো কোনো স্থানে সাত ফুট পর্যন্ত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, সোমবার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এখন এটি উত্তর-পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। পরবর্তী সময়ে এটি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নিয়ে এগোবে। আগামী ২৬ অক্টোবর নাগাদ সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি খুলনা ও বরিশাল উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানান তিনি।

এই আবহাওয়াবিদ বলেন, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘হামুন’। সব নির্দেশক বলছে, এটি সাধারণ একটি ঘূর্ণিঝড় হতে পারে। সতর্ক সংকেত ৫, ৬ ও ৭-এর মধ্যে থাকারই সম্ভাবনা বেশি। মহা বিপৎসংকেত জারির কোনো সম্ভাবনা আমরা এখনও দেখছি না।

চলতি বছরের মে মাসে প্রথম ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ দুর্বল হয়ে বাংলাদেশে প্রভাব ফেলে। গত বছরও আরেকটি ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ বাংলাদেশে উঁচু জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের মাধ্যমে প্রভাব ফেলে। ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ সৃষ্টি হলে এটি হবে বছরের দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা থেকে সাধারণত বঙ্গোপসাগর, ভারত মহাসাগরসহ বিশ্বের বিভিন্ন সাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলোর আগাম নাম ঠিক করা হয়। ‘হামুন’ নামটি দিয়েছেন ইরানের আবহাওয়াবিদেরা। পারসি শব্দ ‘হামুন’ মানে ছোট্ট দৈত্য। বিপর্যয় সৃষ্টিকারী শক্তি, মরুঝড় ও বড় বিপদের প্রতীকী অর্থেও ‘হামুন’ ব্যবহৃত হয়।

আরও পড়ুন

spot_img

সর্বশেষ