ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সোমবার রাত থেকে চলছে বৃষ্টিপাত। বৈরী আবহাওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে দেখা মেলেনি সূর্যের। এরই মধ্যে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কক্সবাজারে দেয়া হয় ৬নং বিপদ সংকেত। এমন দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায়ও পুরোনো ঐতিহ্য মাথায় রেখে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বসেছিল প্রতিমা বিসর্জনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মিলন মেলা।
দুপুর থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিমা নিয়ে পূজার্থীরা আসেন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। প্রতিমা বিসর্জনকে ঘিরে হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজনের মিলন মেলায় পরিণত হয় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত।
বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি উজ্জল করের সভাপতিত্বে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জনের আলোচনা সভা।
সাধারণ সম্পাদক বেন্টু দাশের উপস্থাপনায় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী একান্ত সচিব ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করতে বারবার ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখনো দেশবিরোধী একটি চক্র দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই বাঙ্গালী। জাতী-ধর্ম-বর্ণ সবাইকে দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক যে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল সেই সম্প্রীতি রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে সকল ষড়যন্ত্র ধ্বংস করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি প্রতিরোধ করতে পারলে এদেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদের কোন স্থান হবে না। পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশ হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জাল দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশকে অনুসরণ করলে পৃথিবীতে শান্তি নেমে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের আশেক উল্লাহ রফিক, সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ কানিজ ফাতেমা আহমেদ, আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম, ট্যাুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিব রহমান, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি রণজিৎ দাশ, সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট বাপ্পী শর্মা প্রমুখ।