দেশে আরো সাড়ে চারশত সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুন যখন শুরু হচ্ছে তখন কক্সবাজারে চাল, নগদ টাকা, শুকনো খাবার এবং শিশুদের খাবার মজুদ ছিল। তারপরও ঝড়ের পূর্ভাবাস পেয়ে আমরা নগদ ২০ লাখ টাক, ৫০ মেট্রিক টান চাল, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছি। বিধ্বস্ত ঘর সংস্কারের জন্য ১০০০ বাল্ডিল টিন, ৩০ লাখ টাকা, শিশু এবং গো খাদ্যের জন্য দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আশা করছি কোথাও মানবিক বিপর্যয় ঘটবে না।
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার শহরের ১নং ওয়ার্ডে ঘূর্ণিঝড় হামুনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে এসব কথা বলেছেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী ত্রাণ বিতরণকালে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ যাতে কষ্ট না পায় সেজন্য দ্রুত ত্রাণ সহায়তা দিতে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। ইতিমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয় দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। জরুরী ভিত্তিতে ২০ লাখ টাকা, ৫০ মেট্রিক টন চাল, ৫ হাজার প্যাকেজ শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিধ্বস্ত বাড়িঘর পুন:নির্মাণ করার এক হাজার বান্ডিল ঢেউ টিন, ৩০ লাখ টাকা ও শিশুখাদ্যেও জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে যা দেখেছি বরাদ্দকৃত এসব ত্রাণ পর্যাপ্ত নয়। আমি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে আরও ত্রাণ বরাদ্দ দেয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে। এজন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসনককে আরও কি কি প্রয়োজন হবে তার একটি সঠিক তথ্য দ্রুত পাঠানোর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, নানা কারণে দেশে এখনো পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার গড়ে তোলা যায়নি। তাই আরো সাড়ে ৪শ’ সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি হাতে নেয়া প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ খুঁটি উপড়ে গেছে। তাই বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে একটু দেরি হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্ব দ্রুত কাজ চলছে। আজকালের মধ্যে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারসহ আন্তর্জাতিক মহল কাজ করছে। আশা করছি দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াও শুরু হবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শানীন ইমরানের সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার সদর রামু আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেম।