বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রদের জন্য নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের উদ্বোধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) উপাচার্যের সভাকক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হল দুটি উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এম.পি.। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদের সঞ্চালনায় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে উদ্বোধন অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এম.পি বলেন, দুটি হলের মাধ্যমে আশা করি শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা কমবে। একই সাথে শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিজেদেরকে গড়ে তুলবেন এবং দেশ ও জাতির হয়ে কাজ করবেন।
প্রসঙ্গত, প্রথমে ৯ কোটি ৭৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর ছাত্রদের জন্য ১৮৬ আসন বিশিষ্ট ৪৫ হাজার বর্গফুটের দোতলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের উদ্বোধন করা হয়। দু’টি লিফট, এসি পাঠাগার, ৫০ কেভি পাওয়ারের জেনারেটর, ক্যান্টিন, প্রার্থনাকক্ষ, ইনডোর খেলা, কমন রুম, ইউনিয়ন রুম, টিভি রুম, ওয়েটিং রুম, প্রভোস্ট রুম, শিক্ষকদের রুম, লন্ড্রি, দোকানসহ সব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে হলটিতে।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দ না দিয়ে ২০১৭ সালের ২০ জুলাই থেকে হলটির ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে ১৮৬ আসন বিশিষ্ট দোতলা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলকে ৭৩৮ আসন বিশিষ্ট ছয় তলায় রূপান্তর করা হয়। ফলে এর মোট আয়তন দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৮৪৮ বর্গ মিটার। যার নির্মাণ ব্যয় দেখানো হয় ৪২ কোটি ৯০ লাখ ৩২ হাজার টাকা।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দীর্ঘদিনের। সংকট সমাধানে চবি প্রশাসন অতীশ দীপঙ্কর হলের নির্মাণের কাজ করে। ৫ হাজার ৪৭৮ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে সর্বমোট ১৬ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই হলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয় ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি।