কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন প্রকারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ক্যাম্পের মাঝি ও সাধারণ রোহিঙ্গাকে খুন এবং অপহরণ ও অগ্নিসংযোগ সবই হয়ে থাকে মিয়ানমারের রাখাইন ষ্টেট কেন্দ্রীক সন্ত্রাসী গ্রুপ আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)’র প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির নির্দেশে। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেড় শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সক্রিয় রয়েছে এবং গত ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে আরসার সদস্য করা হয়েছিল যাদের অধিকাংশই এখন আরসা থেকে সরে এসেছে।
র্যাব-১৫’র অভিযানে গ্রেফতার আরসার ওলামা বডি ও টর্চার সেলের প্রধান ওসমান ওরফে সালমান ও ইউনুস প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য স্বীকার করেছে।
র্যাব হেডকোয়ার্টারের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে খন্দকার আল মঈন জানান, সাধারণ রোহিঙ্গা এবং আরসার সদস্য যদি তাদের কমান্ড বা নির্দেশ না মানলে তাদেরকে গোপন আস্তানায় টর্চার সেলে নিয়ে এসে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে থাকে আরসার অস্ত্রধারী ক্যাডারেরা। এসবই হয়ে থাকে আরসার চীফ কমান্ডার আতাউল্লাহ জুনুনির নির্দেশে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে র্যাব-১৫ এর একটি টিম উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে আরসার দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। অভিযান চলাকালে র্যাব আরসার একটি টর্চার সেলেরও সন্ধান পেয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আরসার শীর্ষ কমান্ডারদের একজন আরসার ওলামা বডি ও টর্চার সেলের প্রধান ওসমান ওরফে সালমান, অপরজনের নাম মো. ইউনুস। গ্রেপ্তার ওসমান গত বছর বান্দরবানের নাইকংছড়ি সীমান্ত এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চলাকালে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইর কর্মকর্তা হত্যাকান্ডসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত হত্যাকান্ডে সরাসরি জড়িত।
খন্দকার আল মঈন জানান, মিয়ানমারের রাখাইনকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী গ্রুপ আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পে অপরাধ কর্ম করছে। আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত ৭৩ জন আরসার অস্ত্রধারী সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।