নগরীর বায়েজিদস্থ গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে ৭০ তম ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম মাহফিলে বক্তারা বলেন, যুগ যুগ ধরে মানুষকে হেদায়তের জন্যে অসংখ্য নবী-রাসূল ধরার বুকে আগমন করেন। আখেরি নবী হুজুরে আকরাম (দ.) এর আগমনের মাধ্যমে নবুয়্যতের পরিসমাপ্তি ঘটে। যার মাধ্যমে আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দ্বীন ইসলাম ধরার বুকে প্রতিষ্ঠিত এবং পরিপূর্ণ হয়। দ্বীন ইসলাম থেকে দুরে সরে যাওয়া মানুষদের পুনরায় হেদায়তের পথে ফিরিয়ে আনতে অগণিত আল্লাহর অলিগণ পৃথিবীতে আগমন করবেন। যারা আল্লাহ প্রদত্ত বেলায়তের মাধ্যমে মানুষকে হেদায়তের পথে আহবান করবেন। এভাবেই পৃথিবীতে শুভাগমন করেন মাহবুবে ছোবহানি কুতুবে রাব্বানি গাউছুল আজম আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ)।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বাদে যোহর গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে ৭০ তম ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম মাহফিলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশ্যে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরও বলেন, গাউছিয়তের এ ধারাবাহিকতায় পৃথিবীতে শুভ তশরীফ আনেন খলিলুল্লাহ আওলাদে মোস্তফা খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রাদি:)। যাঁর প্রতিষ্ঠিত তাওয়াজ্জুহ্ বিশিষ্ট এই তরিক্বতের মাধ্যমে পথহারা মানুষ ফিরে আসে সিরাতুল মুস্তাকিমের দিকে, নফসের কুমন্ত্রণা থেকে পরিশুদ্ধ হয়ে রুহানিয়্যত বিকাশে এভাবেই আত্মশুদ্ধি অর্জন করে। বর্তমানেও কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী মানুষের হেদায়তের জন্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ফয়েজে কুরআনের মাধ্যমে নূরে কুরআন বিতরণ করছেন, তাওয়াজ্জুহর মাধ্যমে মানুষকে ইনসানে কামেলে পরিণত করছেন। আধুনিকতার চরম উৎকর্ষতার যুগে নবীর প্রতি ভালোবাসা, কুরআনের প্রতি গভীর আগ্রহ, হারাম-হালাল বিবেচনায় জীবনধারণের পাথেয় বিতরণে এই তরিক্বত যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য এবং সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম মাহফিলে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম, সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, প্রমূখ।
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে পবিত্র ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম মাহফিল উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বাদে যোহর- খতমে কুরআনে করিম ও পবিত্র ফাতেহায়ে ইয়াজদাহুম শীর্ষক আলোচনা, বাদে আছর- খতমে শেফা, বাদে মাগরিব- মোরাকাবা ও জিকিরে গাউছুল আজম মোর্শেদী।
মিলাদ-কিয়াম শেষে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর সাম্প্রতিক বর্বরোচিত হামলা থেকে ফিলিস্তিনিদের হেফাজত,নিহতদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।