শূন্যরেখা পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলে আসায় মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)’র তিন সদস্যকে আটকের ৭ ঘন্টা পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে হস্তান্তর করেছে টেকনাফ-২ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র সদস্যরা।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ডের ঝিমংখালি বিওপির এলাকা হতে বিজিপির এ তিন সদস্যকে ইঞ্জিন চালিত একটি কাঠের নৌকাসহ আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি, ওয়াকিটকি, মোবাইল সেট পাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক সীমারেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ কারায় তারা ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।
বিজিবি সূত্র জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মিয়ানমারের ৭ বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি’র) তিন সদস্য একটি কাঠের নৌকা করে বাংলাদেশে অভ্যন্তরে চলে আসে। তারা টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন ঝিমংখালি বিওপি হতে আনুমানিক ৩ কিলোমিটার পূর্ব দিকে দায়িত্বরত বিআরএম-১৬ হতে প্রায় ৪০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকে শূন্যলাইনের আন্তর্জাতিক সীমারেখার প্রায় ৫০০ গজের ভেতর ঢুকে পড়ে। ঝিমংখালি বিওপির টহলদল স্থানীয় উসমানের ঘেরের পাশের খালের মুখ নামক স্থান থেকে তাদের আটক করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি অস্ত্র, ৩টি ম্যাগাজিনে ৪১ রাউন্ড গুলি, ১টি টিওইটি (ওয়াকিটকি) সেট ও ১টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা এবং ব্যক্তিগত একটি মোবাইল ফোনও হেফাজতে নিয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে আসা হয়।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি)বঅধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, ব্যাটালিয়ন সদরে আনার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা অকপটে স্বীকার করেছে পথ ভুল করেই শূণ্য রেখা অতিক্রম করে ফেলেছে। এ জন্য তারা ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চান।
তিনি আরে বলেন, এরপর মিয়ানমারের ৭ বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)’র দায়িত্বশীলদের সাথে যোগাযোগ করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে টেকনাফ ট্রানজিট ঘাট দিয়ে বিজিপির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা বিজিবির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। এসময় দু’দেশের সীমান্ত বাহিনীর মাঝে এভাবে সৌহার্দ্য পূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।