বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ঢাকায় সংঘাত-সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র; এ ধরনের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যে তারা ভিসা নীতি প্রয়োগ করতে পারে, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরো এবং ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস শনিবার সন্ধ্যায় মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এ সংঘাতের ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানায়।
দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর বিবৃতিতে বলা হয়, “আজ ঢাকায় রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা সব পক্ষকে শান্ত ও সংযমী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে সহিংসতার সব ঘটনাই আমরা পর্যালোচনা করব।”
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, “২৮ অক্টোবর ঢাকায় যে রাজনৈতিক সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র তার নিন্দা জানায়। একজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন রাজনৈতিক কর্মী হত্যা এবং একটি হাসপাতাল পোড়ানোর ঘটনা অগ্রহণযোগ্য।
“সাংবাদিকসহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাও তেমনই। আমরা সব পক্ষকে শান্তি ও সংযমের আহ্বান জানাই। সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আমরা সমস্ত সহিংস ঘটনার পর্যালোচনা করব।”
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরুর পর কাছেই কাকরাইল মোড়ে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের এলাকায়।
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ হাসপাতালে ঢুকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয় আরো ডজনখানেক যানবাহন।
দৈনিক বাংলা মোড়ে একজন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়, আহত হন আরও অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য। পুলিশ হত্যায় ছাত্রদল নেতা জড়িত বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সংঘর্ষের মধ্যে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে দলটি।