আতশবাজির ফোয়ারা, আগুনের খেলা, ঢোলের তালে তালে তরুণদের নাচ আর হাজারো ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে উদযাপিত হলো প্রবারণা উৎসব। নগরীর নন্দনকাননে সবচেয়ে বড় উৎসব হলেও রাউজান, ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, পটিয়া, বাঁশখালীসহ বিভিন্ন উপজেলার বৌদ্ধমন্দির কেন্দ্রিক এ উৎসব সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় ডিসি হিলের নন্দনকানন মোড়ের অস্থায়ী মঞ্চে ফানুস উৎসবের উদ্বোধন করেন সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।
মেধাবী তরুণদের সৃজন ও মননশীলতায় চিরায়ত অবয়বের পাশাপাশি এবারের ফানুসে এসেছে বৈচিত্র্য। আকার, নকশা, নির্মাণশৈলীর গুণে দর্শকদের নজর কাড়ে ব্যতিক্রমী ফানুসগুলো। একটি ফানুস ফুটে উঠেছিল মানুষের হাত, মাথা ইত্যাদি।
আরেকটি ফানুস ছিল বাংলাদেশি স্যাটেলাইটের মতো দেখতে। বেশ কিছু ফানুসে ছিল মৈত্রী ও সম্প্রীতির বার্তা। ফানুস উৎসবে অগ্নিকা- প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একাধিক টিম সতর্ক অবস্থানে ছিল। ছিল রেড ক্রিসেন্টসহ মেডিক্যাল টিমও।
শনিবার বিকেল চারটা থেকে নন্দনকানন চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ মন্দির মোড়, ডিসি হিল মোড় অভিমুখী সব যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে সিএমপি। নগরীর চেরাগী পাহাড় মোড়, লাভ লেন মোড় (নুর আহম্মদ সড়কের মাথা), এনায়েতবাজার মোড়, বোস ব্রাদার্সের মোড়ে (পুলিশ প্লাজার সামনে) রোড ব্লক স্থাপনের মাধ্যমে ডাইভারশন দেওয়া হয়।