আবহমান বাংলার চিরায়ত লোকসংস্কৃতির অন্যতম শাখা যাত্রাপালা বরাবরই গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত। তৃণমূল মানুষের অন্তরে বাস্তবিক উন্নয়নের এক দর্পন স্বরুপ কাজ করে যাত্রাপালা।
এবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে ১৯ দিনব্যাপী ‘গণজাগরনের যাত্রাপালা উৎসব’। ‘শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অভিলক্ষ্যে অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’ এই প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত হবে এই উৎসব।
এই উৎসবে ১২০ টি যাত্রাদলের পরিবেশনায় ৪২টি জেলায় ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ‘গণজাগরণের যাত্রাপালা উৎসব ২০২৩’ চলবে।
জানা গেছে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায়। এদিন থেকে ০৬ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫টি যাত্রাদলের অংশগ্রহণে যাত্রাপালা পরিবেশিত হবে এখানে।
বৃহস্পতিবার উৎসবের উদ্বোধনী আয়োজনে শুরুতেই যাত্রাদল লোকনাট্য গোষ্ঠীর পরিবেশনায় পরিবেশিত হবে যাত্রাপালা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। যাত্রাদল জ্যোতি অপেরা পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘জননীর স্বপ্নপূরণ’ এবং যাত্রাদল বাংলার বাণী অপেরা পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘জাগো মানুষ জাগাও দেশ’।
৩ নভেম্বর যাত্রাদল স্বাধীন বাংলা নাট্য গোষ্ঠীর পরিবেশনায় যাত্রাপালা ‘আলোর পথে’, যাত্রাদল মহানগর ‘দবির দফাদার’ এবং যাত্রাদল শিখা নাট্য গোষ্ঠী পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’।
৪ নভেম্বর যাত্রাদল প্রগতি নাট্য সংস্থার ‘একজন রহিমুদ্দি’, যাত্রাদল নিউ লোকনাথ অপেরা ‘জননী জন্মভুমিশ্চ’ এবং যাত্রাদল বন্ধু অপেরা পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’।
৫ নভেম্বর যাত্রাদল সীমা অপেরা ‘জননীর স্বপ্নপূরণ’, যাত্রাদল গোল্ডেন-৯ নাট্য গোষ্ঠী ‘দবির দফাদার’ এবং যাত্রাদল জয়যাত্রা পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।
৬ নভেম্বর যাত্রাদল স্বরুপ কথার ‘একজন রহিমুদ্দি’, যাত্রাদল নিউ শামীম নাট্য সংস্থার ‘শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ’ এবং যাত্রাদল একতা অপেরা পরিবেশন করবে যাত্রাপালা ‘জাগো মানুষ জাগাও মানুষ’।
প্রসঙ্গত, ৬ নভেম্বরের পর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের ৪২ টি জেলায় বিভিন্ন দলের পরিবেশনায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় চলবে এই যাত্রাপালা উৎসব। যাত্রাপালা সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।