পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে পোশাকশ্রমিকদের মজুরি নিয়ে গঠিত বোর্ডের ষষ্ঠ সভায় এই মজুরি নির্ধারণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ও শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান।
সভায় শ্রমিক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ২০ হাজার ৩৯৩ টাকার প্রস্তাব করেন। অপরদিকে মজুরি বোর্ডে পোশাক কারখানার মালিকদের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার ৪০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেন। উভয়পক্ষ প্রস্তাবনায় তাদের যৌক্তিকতা তুলে ধরে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, মজুরি বোর্ডের সুপারিশ অনুয়ায়ী মালিক ও শ্রমিকপক্ষ মিলে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজকের যে ঘোষণা সেটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই করা হচ্ছে। ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ন্যূনতম মজুরি আট হাজার থেকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে।
১৯৮৪ সালে পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে মজুরি ৫৭০ থেকে বাড়িয়ে ৯৩০ টাকা করা হয়। ২০০৬ সালে ন্যূনতম মজুরি এক হাজার ৬৬২ টাকা করা হয়। তারপর ২০০৯ সালে ২০১০ সালে নূন্যতম মজুরি তিন হাজার টাকা করে দেয়। ২০১৩ সালে করে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা। সবশেষ ২০১৮ সালে তা আট হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করছে গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলন, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, গার্মেন্টস শ্রমিক ও শিল্পরক্ষা জাতীয় মঞ্চ, গার্মেন্টস ওয়াকার্স অ্যালায়েন্স, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য মঞ্চ, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন৷
তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকদের জন্য বাস্তবসম্মত নিম্নতম মজুরি কাঠামো প্রস্তাবনার জন্য শ্রমিকরা কিছু দাবি জানিয়ে আসছেন।