জলাবদ্ধতা সৃষ্টির মূল কারণ হচ্ছে নগরীর খাল দখল ও খালের উপর অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে রাখা। মঙ্গলবার সকালে নগরীর বাড়াইপাড়া নুরনগর খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবদুস সবুর লিটন একথা বলেন।
এসময় তিনি বারইপাড়া ব্রিজের কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, এ ব্রিজ নির্মাণের কাজ বাস্তবায়িত হলে ওই রাস্তায় জনগণের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির অবসান হবে।
পরিদর্শনকালে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের সাথে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল আলম, প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক, আতিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবদুস সবুর লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের সব নদী ও খাল অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনরুদ্ধার করার দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই নির্দেশনার আলোকে চট্টগ্রাম মহানগরীর অভ্যন্তরীণ খালগুলো দখলমুক্ত করা হবে। আমরা পর্যায়ক্রমে নগরের সবগুলো খাল খননের চেষ্টা করছি, নগরবাসী যেন প্রাণভরে নিশ্বাস নিতে পারে। বিশুদ্ধ বাতাসের জন্য যেকোন কিছুর বিনিময়ে আমরা চট্টগ্রাম নগরীর বেদখল হওয়া খালগুলো উদ্ধার করবোই।
এসময় তিনি ওই এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো ঘুরে দেখেন এবং নাগরিক সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য প্রকৌশল বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশ দেন।
পরে বহদ্দারহাটের বাইরপাড়ায় নির্মাণাধীন মসজিদের কাজের তদারকি শেষে সিটি কর্পোরেশনে নিয়মিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন ভারপ্রাপ্ত মেয়র লিটন।
তৃতীয়বারের মতো দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় দিনও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হন আবদুস সবুর লিটন।