র্যাবের গুলিতে নিজেদের কর্মী নিহতের দাবিতে বুধবার (৮ নভেম্বর) পূর্ণ দিবস হরতাল ডেকেছিল কক্সবাজার জেলা বিএনপি। কিন্তু হরতাল ডেকে মাঠে নেই বিএনপি। জেলার কোথাও হরতালের প্রভাবও লক্ষ্য করা যায়নি। দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও অভ্যন্তরীণ সকল যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
হরতালে যেকোন ধরনের বিশৃঙ্খলতা রোধে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
কক্সবাজার শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট লালদিঘি পাড়, বাজারঘাট, বাস টার্মিনাল, কলাতলী পয়েন্ট, টেকনাফ, উখিয়া, রামু, চকরিয়া, পেকুয়ায় অভ্যন্তরীণ সড়কে সকাল থেকে হালকা ও ভারী যানবাহন চলাচল করছে। বিভিন্ন স্থানে যানজটও পরিলক্ষিত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কোথাও হরতাল সমর্থণকারীদের দেখা যায় নি।
হরতালে যেকোন ধরনের বিশৃঙ্খলা দমাতে ভোর থেকে পৌর শহর ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে।
জেলা বিএনপি কার্যালয় খোলা থাকলেও কোন কর্মী বা নেতার দেখা মেলেনি।
তবে, জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান ছিদ্দিকী বলেন, সকাল থেকে আমাদের নেতাকর্মীরা অসংখ্য জনতাকে সাথে নিয়ে মাঠে আছে। তবে, কক্সবাজার শহর বা আশপাশে তাদের অবস্থান না থাকার বিষয়ে কোন সদুত্তর দেননি তিনি।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও পুলিশ টহল জোরদার রয়েছে।
জেলা বিএনপির দাবি মতে, গেল ৫ নভেম্বর রাতে উখিয়া উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরীর বাসায় অভিযান চালাই র্যাব ও পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের কর্মীরা। তাকে না পেয়ে ঘর ভাংচুর এবং গ্রামবাসির উপর গুলি চালায়। এতে ৩ জন বিএনপি কর্মী গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে স্থানীয় বিএনপি নেতা জাগির হোসেন মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত জাগির হোসেন উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাইন্নাশিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলমের ছেলে এবং সাবেক যুবদল নেতা ও বর্তমান জালিয়াপালং ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।
জাকের নিহত হওয়ার প্রতিবাদে বুধবার কক্সবাজার জেলায় সকাল সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা করা হয়।
জেলা বিএনপি অংগ ও সহযোগী সংগঠনের সকলস্তরের নেতা-কর্মী এবং জনগণকে বুধবার সকাল ৬টা হতে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ণ দিবস শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে থেকে হরতাল পালনের আহবান জানিয়েছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না। কিন্তু জেলা সভাপতি-সম্পাদকের নির্দেশনা কেউ মানেনি। এমনকি নিজেরাও কোথাও মাঠে নেই তারা।
