কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদীতে জেলের বড়শিতে ফের ধরা পড়লো ২৮ কেজি ওজনের দু’টি কোরাল মাছ। এর একটির ওজন ১৩ কেজি, অপরটি ১৫ কেজি ওজনের। মাছ দুটি ৩০ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯ টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ও দমদমিয়া অংশের নাফনদীতে মাছ দুটি জেলের বড়শিতে ধরা পড়ে। মাছ দুটি জেলেদের কাছ থেকে আলী আহমদ নামের এক মাছ ব্যবসায়ী কিনে নিয়েছেন।
মাছ ব্যবসায়ী আলী আহমদ বলেন, বুধবার সকালের দিকে দমদমিয়া এলাকার ছৈয়দ হোসাইন ১৫ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ বাজারে বিক্রি করতে আনেন। তার সাথে দর-কষাকষি শেষে কেজি এক হাজার ১০০ টাকা করে ১৬ হাজার ৫০০ টাকায় কিনে নেওয়া হয়। একই সময় রিদুয়ান নামের আরেক জেলের কাছ থেকে ১৩ কেজি ওজনের আরেকটি কোরাল কেজি প্রতি একই দামে ১৪ হাজার ৩০০ টাকায় কিনে নেয়া হয়। মাছ দুটি সকালে তাদের বড়শিতে ধরা পড়েছিল।
তিনি আরো বলেন, প্রায় সময় নাফনদীতে জেলেদের বড়শিতে বড় কোরালসহ বিভিন্ন জাতের মাছ ধরা পড়ে। এতে জেলেরা খুব আনন্দিত হয়। ক্রয়কৃত মাছ দুটি বেশি দামে বিক্রির জন্য কক্সবাজারে নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জেলে সৈয়দ হোসাইন বলেন, সকালের দিকে বড়শি নিয়ে নাফনদীর দমদমিয়া অংশে যায়। ঘন্টাখানেক পর বড়শিতে ১৫ কেজি ওজনের একটি বড় কোরাল ধরা পড়ে। এরপর অন্যান্য জেলেদের সহায়তায় মাছটি হ্নীলা বাজারে কেজি ১১শ’ টাকা করে ১৬হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।
টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, কোরাল দ্রুত বর্ধনশীল মাছ। পরিবেশ ভালো পেলে মাছটি সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। কোনো কোনো সময় এর বেশি ওজনের কোরালও পাওয়া যায়। এ নদীর মাছ খুবই সুস্বাদু। তাই জেলেরা দামও ভালো পেয়ে থাকেন। নাফ নদীতে বড়শি ফেললে প্রায় বড় বড় কোরাল মাছ পাওয়া যাচ্ছে।