সাগর পথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিয়ে রোহিঙ্গা ৭০জন নারী-পুরুষ-শিশুকে ট্রলারে তুলে সাগরে ভাসমান রেখে পালালো দালালচক্র। ৫ দিন সাগরে ভাসার পর জেলেদের সহায়তায় বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ভোরে সাগর থেকে টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন টেকনাফ সদর ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মহেশখালীয়া পাড়া নৌ-ঘাটে ফিরে এসেছে।
জীবিত তীরে ফিরে আসাদের একজন রোহিঙ্গা আলী হোসাইন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ স্থানীয় একটি দালালচক্র সাগর পথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমাদেরকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেশখালীয় পাড়ার কয়েকটি বাড়িতে ২-৩ দিন রাখেন। এরপর সুযোগ বুঝে রাতের আঁধারে ইঞ্জিন চালিত একটি কাঠের ট্রলারে তুলা হয়। এরপর গভীর সাগরে গিয়ে আমাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রতারণা মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। পরে সাগরে ভাসমান রেখে দালালরা আরেকটি ট্রলার করে ঘটনাস্থল থেকে পালায়। সাগরে বিক্ষিপ্তভাবে ৫দিন ভাসমান থাকার পর স্থানীয় জেলেদের সহায়তায় সাগর থেকে মহেশখালীয়পাড়া নৌ-ঘাটে ফিরে আসতে পেরেছি।
তিনি আরো বলেন, ওই ট্রলারে আমরা ২০ জন পুরুষ, ৪০ জন নারী ১০ জন শিশু ছিলাম। আমরা সবাই উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জুবায়ের সৈয়দ বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে কোন ভিকটিম ও দালালকে পাওয়া যায়নি। তবে ভেসে আসা ইঞ্জিন চালিত কাঠের ট্রলারটি জব্দ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে কোস্ট গার্ডের সদস্যরাও রয়েছেন।তারাও এ ঘটনা নিয়ে কাজ করছেন।
ওসি আরো বলেন, এ ঘটনার সাথে কারা জড়িত তা তদন্ত চলছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন ওসি।