শনিবার কক্সবাজার সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর ২৯ প্রকল্পের উদ্বোধনের এগারো মাসের মাথায় চলতি সরকারের শেষ মেয়াদে কক্সবাজারে এসে শেষ হওয়া মেগাপ্রকল্পসহ আরো ১৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। ওইদিন সকালে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা চান্দেরপাড়া এলাকায় নির্মিত আইকনিক রেল স্টেশনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। রেল মন্ত্রণালয়ের অধীনে আইকনিক স্টেশন উদ্বোধনের পরে সুধীজনের সাথে মতবিনিময় সেরে বিকেলে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। এ সময় রেললাইন প্রকল্প ছাড়াও ১৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্র জানায়, আইকনিক রেললাইন স্টেশন ও রেল লাইন ছাড়াও সমাপ্ত হওয়া ১৩টি প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৩টি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য ফলক তৈরী করা হয়েছে। উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর যোগ্য প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ৫৩৪৬৭ দশমিক ৬২২৬ কোটি টাকা।
উদ্বোধনের তালিকায় থাকা প্রকল্প গুলো হলো:
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাটে ৫৯৫ মিটার দীর্ঘ পিসি বক্স গার্ডার ব্রিজ। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ঠান্ডা চৌকিদারপাড়া ৬০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ, ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চকরিয়া পৌরসভা বাস টার্মিনাল সম্প্রসারণ প্রকল্প, ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নাধীন সমন্বিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা (বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ) ডিজাইন ও স্থাপনকরণ প্রকল্প। সোয়া ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় কক্সবাজার সদর উপজেলা জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, মহেশখালীতে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ইউনুসখালী নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে উখিয়ায় রত্না পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে মরিচ্যা পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন, ৫১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মহেশখালীর মাতারবাড়িস্থ ২৬০০ মেগাওয়াট আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র (১ম সংশোধিত), ৬৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে কুতুবদিয়ায় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কুতুবদিয়া দ্বীপকে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্তকরণ প্রকল্প, ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন (১ম পর্যায়) (৩য় সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় ডিপোজিট ওয়ার্ক হিসেবে বাংলাদেশ পানি উন্নয় বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক ২১২ একর ভূমি ভরাট ৪ দশমিক ৮ কিমি স্লোপ প্রটেকশন বাঁধ নির্মাণ, এপ্রোচ রোড়সহ ২টি ব্রিজ ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প এবং ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে রামুতে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প।
ভিত্তি স্থাপনের জন্য থাকা প্রকল্পগুলো হলো:
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে টেকনাফে মাল্টিপারপাস ডিজাস্টার রিসিলেন্ট শেল্টার কাম আইসোলেশন সেন্টার নির্মাণ। এর প্রকল্পের ব্যয় ২৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। রামুর জোয়ারিনালা ইউপি-মোহসিনা বাজার ভায়া নন্দাখালী সড়কে সাড়ে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৮৪ মিটার দীর্ঘ আর্চ ও আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ প্রকল্প। ১৭৭৭৭ দশমিক ১৬১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মহেশখালী মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প এবং প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে কাব স্কাউটিং সম্প্রসারণ (৪র্থ পর্যায়) প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।